সৌরভ ভট্টাচার্য
16 June 2020
টবের মধ্যে মাটি। মাটির মধ্যে গাছ। গাছের উপর ছাদ। গাছের সামনে গ্রিল।
গ্রিলের সামনে ফাঁকা। ফাঁকার ওপারে গ্রিল। গ্রিলের সাথে আস্ত আরেকটা ফ্ল্যাট।
রোদ গেল। টব বলল, কি হল? দিনের বেলায় রোদ গেল। ছায়া হল?
হাওয়া দিল। হাওয়ার গা ভেজা ভেজা। পাতা বলল, শীত করল, বাতাস, তোমার গায়ে জল মাখানো?
বাতাস তখন দুটো ফ্ল্যাটের মধ্যিখানে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলছে, একবার এদিকের দেওয়াল, কমলা, আরেকবার ওদিকের দেওয়াল, নীল।
গ্রিলের গা ভিজে ভিজে। গ্রিল বলল, ধরতে পারে জং, ধীরে বন্ধু ধীরে ধীরে।
টবের বুকের কাঁচামাটি টবের গায়ের পোড়ামাটিকে বলল, পাচ্ছ দিদি ভিজে বাতাসের গন্ধ?
টবের পোড়া মাটি বলল, পাচ্ছি কই, সারাটা গায়ে উটকো রঙের গন্ধ।
হঠাৎ গ্রিলে ছিটকে লাগল, গ্রিল বলল উফ, কি জ্বালাতন। দুটো ফ্ল্যাটের দেওয়ালেরা বলল, উফ, বিরক্তিকর! এ কি জ্বালাতন!
ভিজে একটা কাক বসল গ্রিলের পাশে, ডানা ঝাপটিয়ে বলল, আহা!
বাতাস বলল, আহা, মাটি বলল, আহা, কচিপাতারা বলল, আহা, শিকড় বলল, আহা, পোড়া টবের মাটি আর দেওয়ালে চাপা পোড়া মাটির ইটেরা বলল, এল বুঝি?
কাক বলল, সে আর বলতে? আমার চেয়েও কালো তার রঙ!
তখন চারদিকে বড় বড় ফোঁটা। রাস্তার কালো শরীর জুড়ে বড় বড় বুদবুদের নৌকা, দেওয়াল জুড়ে নামা শহুরে ঝরণা।
চিরকালের উদাসী আকাশে তখন প্রথম আষাঢ়।