Skip to main content

মেয়েটার সেদিন সন্ধ্যামালতী ফুল দেখতে ইচ্ছা করছিল। ফুলটা না দেখতে পেলে সে যেন মরেই যাবে আজ। সত্যিই মরে যাবে।

বাস থেকে নেমে পড়ল। ফেরার ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরল অবেলায়। কেউ ভাবল শরীর খারাপ। কেউ ভাবল মন খারাপ। কেউ ভাবল, স্বামী ছাড়লে এই তো হয় - ভীমরতি!
মেয়েটা কাউকে কিছু বলল না। নিজের চোদ্দ বছরের ছেলেকেও না। সে শুধু বলেছিল, আজ তোমার অফিস ছুটি?
মেয়েটা সাইকেল নিয়ে বেরোল। পুরোনো পাড়ায় এলো। রেললাইনের ধার। মনে পড়ল বাবার হাত। নাহ্, ফুল কই? শুধুই ঝোপঝাড়!
তার কান্না পেল। অকারণেই কান্না পেল। জীবন তো তার সব নিয়েছে। স্বামী, প্রেম, পড়াশোনা, বন্ধু...সব সব সব! তার সন্ধ্যামালতীও চাই?
মেয়েটা ফুল কিনল। বাবার ছবির সামনে রাখল। নিজের হাতে বাবার ছবি ছুঁয়ে রইল।
কে বেশি নেয়? জীবন না মরণ?

ছেলেটা ডাকল, মা!