রবীন্দ্রনাথের কাছে ছেলেরা নালিশ নিয়ে এলো। ভাত বড় বড় ধাতুর পাত্রে টেনে টেনে নিয়ে যেতে যেতে পাত্রের তলা ক্ষয়ে যায়। সেই ক্ষয়ে যাওয়া অংশ থেকে ভাত ছড়িয়ে চারদিক নোংরা হয়। কি করা যায়?
রবীন্দ্রনাথ ছাত্রদের কাছে গেলেন। বললেন, একটা সাধারণ বুদ্ধি তোমাদের মাথায় আসে না কেন? পাত্রের নীচে একটা বিড়ে বেঁধে দিলেই তো ঘর্ষণ হয় না। পাত্র ফুটোও হয় না। তোমরা চিন্তা করতে পার না, তার কারণ তোমরা ধরে নিয়েছ নিষ্ক্রিয়ভাবে তোমাদের অধিকার শুধুমাত্র ভোগের। আর কর্তৃত্বের অধিকার অন্যের। এতে আত্মসম্মান থাকে না।
ঘটনাটা সামান্য। দর্শনে, শিক্ষায় "প্র্যাগমাটিজম" শিখতে বারবার বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের দিকেই তাকাতে হবে কেন? ছোটোখাটো এই ঘটনাগুলো কি কম? জন ডুইয়ের বই হয় তো হাতের নাগালে নেই। হয় তো বা ইংরেজি পড়তে পারি না। কিন্তু শিক্ষা নিয়ে চর্চা তো এখানেও কম হয়নি।
শুনছি বাংলা মাধ্যমের অনেক স্কুল ইংরেজি মাধ্যমে হয়ে যাবে। তাই যদি হতেই হয়, তাই হোক। তার সঙ্গে বিরোধ করে এখন আর লাভ নেই। কিন্তু তারা ভাবতে শিখুক। যে ভাষাতেই শিখুক, ভাবতে শিখুক। এই ছবিটায় দুই ভাষার দুইজন মহারথী মানুষকে দেখে সেই কথাটাই মাথায় এলো। রাধাকৃষ্ণণ যখন বলছেন,
"The thinkers of India are the inheritors of the great tradition of faith in reason. The ancient seers desired not to copy but to create. They were ever anxious to win fresh fields for truth and answer the riddles of experience, which is ever changing and therefore new. The richness of the inheritance never served to enslave their minds. We cannot simply copy the solutions of the past, for history never repeats itself."
সেই একই কথার ধ্বনি, প্রতিধ্বনি। সমীচীন চিন্তা করতে শেখা শিক্ষার একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। শুধু শেখা না, কি শিখব আর কিভাবে শিখব, সেটা শেখাও একটা বড় শিক্ষা।
"सीखने की कला भी सीखनी पड़ती है" (One has to learn the art of learning too) ~ Purushottam Agrawal