দাদু চা খাবে?
দাদু টোটোর চালকের আসনে বসে। বলল, ওদের সময় তো লাগবে। বিয়ের বাজার করবে তো... চ...
নাতির হাত ধরে টোটো থেকে নেমে দাদু এগোলো চায়ের দোকানে। সন্ধ্যে সাতটা হবে। সাজানো চায়ের দোকান। খুব সাধারণ চায়ের দাম দশ টাকা। নাতিকে জিজ্ঞাসা করল, বিস্কুট নিই?
নাতি বলল, নাও।
এই চায়ের দোকানে অনেক কিছু পাওয়া যায়। ম্যাগী, ফেঞ্চ ফ্রাই, নানা জাতের কফি, চকোলেট.... সব লিস্ট করে টাঙানো আছে।
ক্লাস ফাইভে পড়া নাতি একটা একটা করে খাবারের নাম বলে যাচ্ছে, আর সে খাবারের মহিমা বলে যাচ্ছে দাদুকে। যেন সব সে খেয়েছে। আহা, না খেলেও মোবাইলে দেখেছে তো! মাঝে মাঝে আড়চোখে দেখছে নাতি, আর কেউ শুনছে কিনা।
আর দাদু? বারবার রাস্তার অন্য ফুটে শপিংমলের দিকে তাকাচ্ছে। সতর্ক। যদি বেরিয়ে আসে হঠাৎ। কিন্তু নাতির কথায় তাল দিয়ে যেতে ভুল হচ্ছে না দাদুর। বলছে, তাই? তাই? ও বাব্বা!
সব ঠিক চলছিল। আচমকা একটা ঝোড়ো বাতাস দিল। দোকানের পাশের নিমগাছ থেকে কয়েকটা পাতা উড়ে গিয়ে পড়ল দাদুর চায়ে। আর কি খাওয়া যায়!
নাতি অপরাধীর মত তাকালো। দুই চোখে স্বপ্ন ভাঙা কষ্ট। দশটা টাকা তো দাম, বলো! এদিকে তার চা তো কখন খাওয়া শেষ, দাদুকে দিত নইলে। একবার দেওয়ালে টাঙানো খাবারের লিস্টের দিকে তাকালো। দামের তালিকার দিকে তাকালো। লজ্জায়। চোখ নামিয়ে দাদুকে বলল, চলো টোটোতে গিয়ে বসি। ওরা চলে আসে যদি।
ওর আপাতত আর কোনো গল্প বলার নেই যে!