Skip to main content

 

বাইশ ঘন্টা রাস্তায় বসে, গোটা রাত কাটিয়ে এখন দুপুর। তার উপর এমন ভ্যাপসা ওয়েদার। এত কিছুর পরেও যখন পুলিশের সঙ্গে এইমাত্র সেই তরুণ প্রজন্মের কথাবার্তা শুনলাম, তাদের ধৈর্য, শালীনতা বোধের প্রতি আবার নতুন করে শ্রদ্ধা জন্মালো। যে ভাষায়, যে মার্জিতভাবে এইমাত্র শুনলাম কথাবার্তা, তার এক অংশ যদি আমাদের রাজনীতির মানুষেরা আর সংবাদমাধ্যমের মানুষেরা শিখতেন।

অবশ্য আমার আশা করাটাই তো ভুল হচ্ছে। চিকিৎসকদের আন্দোলনটা কোনো স্বার্থের জন্য না, জাস্টিসের জন্য। তারা না চান সিংহাসন ধরে রাখতে, না চান সিংহাসন হাতে পেতে। আর না চান টিআরপি বাড়াতে। উদ্দেশ্য আর উপায় যতক্ষণ সৎ হয় ততক্ষণ এ সংযমটা তো থাকেই।

যে দাবী গতকালই মানা যেত, সে দাবী যখন এখন মানা হল, তাতেও যে ধৈর্য আর শালীনতার সঙ্গে গোটা ব্যাপারটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখছেন তারা তা সত্যিই নজির।

প্রচণ্ড ঝড়ের মুখে দক্ষ নাবিক শান্ত থাকে, অপটু যে সে-ই অস্থির হয়ে ভিতরে বাইরে দুদিকেই ঝড় বাধিয়ে তোলে। সে মুখ্যকে ভুলে গিয়ে গৌণকে বড় করে তোলে, বাদের থেকে বিতণ্ডা গলার জোর পায় বেশি। আবেগের দায়বদ্ধতা থাকে না, সে ভাবে সে ফেটে পড়লেই সব সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু বুদ্ধির দায়বদ্ধতা আছে, দায়িত্ববোধ আছে। সে সজাগ তাই। দক্ষতা শুধু সময়ের সমীকরণে জন্মায় না, মানসিকতার স্বচ্ছতাও বড় ভূমিকা নেয়। নোম চমস্কি বলেন গণ আন্দোলনে গণই নেতৃত্ব দেয়, কোনো বিশেষ ব্যক্তিত্বের দরকার হয় না। তাই বিশ্বাস করুন, কোন সেলিব্রিটি, কোন নেতামন্ত্রী কী মন্তব্য করছেন, কে কী গাইছেন, বাজাচ্ছেন, হাঁটছেন, দৌড়াচ্ছেন অতটা গুরুত্বপূর্ণ না আমার কাছে, যতটা এই জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন। সাচ্চা আন্দোলন।

(অনুগ্রহ করে কোনো রাজনৈতিক বা অশোভন মন্তব্য করবেন না। অন্তত চিকিৎসকদের থেকে সেটাই শেখার।)

আন্দোলনের শেষে রাস্তাটা পরিষ্কার করে দেওয়ার দায়িত্বও নিলেন। এ ছবিটাও থাক। 🙏

https://www.instagram.com/reel/C_dDgLotxQm/...