বাঁশি বললে, এসো
আত্মা বললে, আসছি
বুদ্ধি বললে, যেও না, না হও ব্যভিচারী
হৃদয় বললে, মরণ যেখানে দোসর সেখানে ব্যাভিচার?
সমাজ বললে, আমি মিথ্যা তবে?
ব্যাকুলতা বললে, কই তুমি?
স্বামী এসে বললে, দাঁড়াও আমি আছি!
শরীর বললে, পথ ছাড় মূর্খ, ও যাক, আমি না গেলেও ও যাবে।
চাঁদ বললে, তৈরী?
প্রসাধন বললে, হ্যাঁ
যমুনা বললে, আসছ?
নূপুর বললে, এই তো! সে কই?
হাওয়া জুঁইয়ের গন্ধ ছুঁয়ে বলল, ওই যে!
আত্মা হৃদিমন্দিরে বসে চোখের কপাট খুলে চাইল-
ওই তো! চাঁদের আলো পড়েছে শিখিপাখায়
কুণ্ডলের মণিদুটোতে জোনাকির আলোর চঞ্চলতা
বৈদূর্যমণির জ্যোতি স্নিগ্ধ আলোতে জ্যোতির্ময়
আর দেখা যায় না
চোখ ঝাপসা হল
চেতনা অজ্ঞান জ্ঞানের পার হল
বাঁশি বাজল
সংসার ভাসল
ধর্ম ভাসল
দেহ মন বুদ্ধি খসে পড়ল
চারদিকে শুধু আলো আলো আলো
মাটি চৈতন্যময়
জল চৈতন্যময়
আকাশ চৈতন্যময়
বাতাস চৈতন্যময়
সব মধুময়
অধরং মধুরং বদনং মধুরম
নয়নং মধুরম হসিতং মধুরম
হৃদয়ং মধুরম গমনম মধুরম
মধুরাধিপতে অখিলম মধুরম
(ছবি - Internet জানি না কার আঁকা, অদ্ভুত সুন্দর)