Skip to main content
 
 

স্থান - পুরোনো দিল্লী। অসম্পূর্ণ বানানো একটা বহুতল আবাসন। তার একেবারে উপরের তলা। একটা কোণের দিকে তিরপল লাগানো, নীচ থেকে যাতে খেয়াল করা না যায় এমনভাবে।
       শওকত আলী ডানচোখের কোণের পিচুটিটা কিছুতেই বার করতে পারছিল না। জল নেই। একটা বোতল ভর্তি আর একটা বোতল অর্ধেক, এই দিয়েই চালাতে হবে, খরচ করা যাবে না। আঙুল দিয়ে খুঁচে খুঁচেই পিচুটিটা বার করল শওকত। একটা আধখানা পাউরুটি ইটের টুকরোয় চাপা দেওয়া। শুয়ে শুয়েই হাত বাড়ালো শওকত। খালি গা, একটা কাপড় পেঁচিয়ে কোমরটা জড়ানো। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে ওটা ওর গায়ের পাঞ্জাবি ছিল। রক্তের দাগ লেগে। মাথায় ফাটা দাগ। গালদুটো এখনও ফোলা। সারা গায়ে বিষব্যথা।
       দু'দিন হল শওকত এই জায়গায়। কোনোরকমে প্রাণ নিয়ে পালিয়েছে। বাড়িতে কেউ বেঁচে আছে কিনা জানে না। সাহস হচ্ছে না নামার।
       রুটিটা চিবোতে গিয়ে লাগল। মুখ থেকে বার করে দেখল, রক্তের দাগ লাগছে না আর।
       চারদিকে কোনো আওয়াজ নেই। চুপচাপ। গোরস্থানের মত। কয়েকটা চিল উড়ছে। শওকত ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ চিলগুলোর দিকে। মাথার মধ্যে একটা দপদপে ব্যথা হয়েই যাচ্ছে। চোখ বন্ধ করলেই দরজাটা ভেঙে পড়ার আওয়াজ, হাতে বড় বড় তরবারি, মাথায় গেরুয়া ফেট্টি, রক্ত... রক্ত... চীৎকার। চোখ বন্ধ করল শওকত। বন্ধ চোখেই মনে হল চিলগুলো আকাশ থেকে নেমে এসেছে। তাকে ঘিরে গোল হয়ে বসেছে। তাদের পায়ের আওয়াজ ধুপধাপ... ধুপধাপ...
       চমকে উঠে চোখ খুলল শওকত। চিল নেই। তবে আওয়াজটা হচ্ছে। কেউ একজন উঠছে। শওকত সমস্ত শক্তি দিয়ে হাতে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়াল। তার হাত-পা থরথর করে কাঁপছে। একটা থান ইঁট কাঁপা কাঁপা হাতে তুলে নিল, বুকটা হাপরের মত উঠছে নামছে, চিলগুলো ডাকছে।
       বিস্ফারিত চোখ, খালি গা, ছেঁড়া পায়জামা একজন এসে দাঁড়াল। শওকত সমস্ত শক্তি দিয়ে ইঁটটা ছুঁড়ে মারল। ফসকে গেল। লাগল না। গোঙানির সাথে বলল, হিন্দু...?
       লোকটা ভয়ার্ত চোখে চমকে উঠে বলল, মুসলমান?
       চারিদিকে দামামা বেজে উঠল। একসঙ্গে দশ লক্ষ কাড়ানাকাড়া বেজে উঠল। বেজে উঠল দুন্দুভি। দু'জনে দু'জনকে পর্যবেক্ষণ করতে করতে ঘুরতে লাগল, মাঝে কয়েক হাত ফাঁক, দু'জনেই মেপে নিতে চাইছে কার কতগুলো শ্বাসের পর মৃত্যু... চিলেরা আনন্দে উল্লাস করছে আকাশে। জ্বলন্ত সূর্যের গা থেকে হলুদ পশম ছিঁড়ে ছিঁড়ে দিচ্ছে ছুঁড়ে... মর... মর... মর.... হাসিমুখে আশীর্বাদ করছে মেঘেরা... সাদা মেঘ... জল নেই..
       শওকত লাফিয়ে পড়ল জনার্দন ত্রিপাঠির গায়ে। হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে নিয়ে গেল ছাদের ধারে। গলাটা টিপে ধরতে চাইছে, জোর পাচ্ছে না। বুকের উপর উঠতে চাইছে, জোর পাচ্ছে না। হঠাৎ জ্ঞান হারালো শওকত। অর্ধেক ঝুলে জনার্দন। চিলেরা উৎকণ্ঠায়। সাদা মেঘেরা ত্রস্ত। এখন কি হবে?
       জ্ঞান ফিরল শওকতের। সিঁড়ির ঘরের দেওয়ালে ঠেসান দিয়ে শোয়ানো দেখল নিজেকে। মরে গেছে? না মরেনি। জনার্দন উবু হয়ে বসে তার দিকে তাকিয়ে। সে তাকাতেই চীৎকার করে বলল, আমায় মারবে? মারবে?
       চিলগুলো ডানা ঝাপটালো। মেঘগুলো গোল গোল ঘুরে শান্ত হয়ে পর্যবেক্ষণ করছে।
       শওকত বলল, আমায় মারলে না কেন? আমি তো জ্ঞান হারিয়েইছিলাম।
       জনার্দন বলল, শুয়ার কি অওলাত...
       শওকত বলল, তু রেণ্ডী কি..
       হঠাৎ করে লাফ দিতে গেল জনার্দন শওকতের ঘাড়ে। দিল না। বসে পড়ল। শওকতও তৈরি হয়ে উঠতে যাচ্ছিল, থেমে গেল।
       এই হিন্দুস্থান আমাদের।
       কে বলল?
       আমরা, তোমরা এসে জোর করে থেকেছ... আমরা আর্যরাই আগে থেকে এখানে... তোমরা কাফের... তোমরা গদ্দার....
       শওকত থুতু ফেলল। রক্ত নেই। বন্ধ হয়ে গেছে। বলল, তোমরা দুর্বল। আমাদের পূর্বপুরুষেরা সেই কবে থেকে এই ভারতে, আমাদের সব কিছু এখানে। আমাদের এত বছরের শাসন... আমাদের শিল্প... আমাদের গান-বাজনা... আমাদের টাকা-পয়সা... সব আমাদের...
       তোমরা পরে... আগে আমরা..
       এখন আমরা সবাই এক জায়গায়.....
       চিলের ডাক কর্কশ। মেঘের গায়ের থেকে বিশ্রী গন্ধ।
       শওকত স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে জনার্দনের দিকে। জনার্দনও একই ভঙ্গিমায়।
       শওকত বলল, এ সব আমার কথা না। এ সব আমায় শিখিয়েছে।
       জনার্দন বলল, আমারও তাই। তাই আমার ভাষাটা আড়ষ্ট। হাতের জোরটা অন্ধ।
       আমারও...

       আবার আওয়াজ সিঁড়িতে। একজন ছেঁড়া জামাপ্যান্ট পরা লোক। ছাদে উঠেই দুটো হাত আকাশের দিকে তুলে দাঁড়িয়ে। একটা চিল পায়খানা করে দিল তার হাতে। সে বলল, আমায় মেরো না, আমি ডাক্তার।

       তারা দু'জন বলল, ধর্ম?
       ডাক্তার বলল, আমি নাস্তিক। ঈশ্বর মানি না।
       শওকত জনার্দনের দিকে তাকিয়ে ডাক্তারকে বলল, কোনো ধর্মই না?
       ডাক্তার বলল, চিকিৎসা যদি ধর্ম হয় তবে মানি। আমি মুসলামানের শরীর আর হিন্দুর শরীরে আলাদা কিছু পাইনি।
       হিন্দুর শরীরে আত্মা আছে। মুসলমানের রুহু। জনার্দন বলল।
       ডাক্তার বলল, ও সব বিশ্বাস। প্রমাণ নেই।
       শওকত বলল, তোমার কি মনে হয়? এই ভারত কাদের হওয়া উচিৎ? হিন্দু, মুসলমান না তোমার মত নাস্তিকের?
       ডাক্তার বলল, সবার। দেশ মানে হোস্টেল নয়, দেশ মানে ক্যাম্প নয়, দেশ মানে জবরদখল নয়, দেশ মানে রাজনীতি, ধর্মনীতি --- এগুলো কিচ্ছু না। দেশ মানে শুধু মানুষ। বাকি সব যা মানুষের সবার। সব মানুষের।
       তুমি কম্যুনিস্ট? জনার্দন বলল।
       না, আমি ডাক্তার।
       হতে পারে, কিন্তু তুমি কম্যুনিস্ট।
       না, আমি বললাম তো, মানুষের পেশাই তার ধর্ম, তার পরিচয়। যে পেশা সব মানুষের কাজে আসে।
       যেমন মুচি, মেথর, ডোম? শওকত বলল।
       ডাক্তার বলল, হ্যাঁ। যার যেটা কাজ সেটাই তার ধর্ম, যেটা দিয়ে সে সমাজের সেবা করে। তোমরা কি করো?
       আমি গণেশ মন্দিরের পুরোহিত। জনার্দন বলল।
       আমি নওবাবগঞ্জের মসজিদের মৌলবী। শওকত বলল।
       মানে তোমরা ধর্মকে জীবিকা হিসাবে নিয়েছ।
       হুম। সেটা দোষের?
       না, তবে আধুনিক সমাজে বেমানান।
       মানে?
       মানে ধর্মকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক করে দেওয়া উচিৎ। যেমন আগে দেশ চালাতে রাজা লাগত, সাধারণ মানুষের সে নিয়ে কোনো প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল না। তারপর গণতন্ত্র এল। মানুষ স্বাধীন হল। দেশের সাথে তার সরাসরি সম্পর্ক হল। সেরকম ধর্মেও হওয়া উচিৎ।
       মানে? জনার্দন বলল।
       দেখো, মানেটা সোজা। ধর্মে একটা নীতির দিক, একটা স্রষ্টার দিক - এই তো? কেউ আল্লাহ্ বলে, কেউ ঈশ্বর। কেউ কোরাণকে নীতির পরাকাষ্ঠা বলে, কেউ গীতা-রামায়ণ ইত্যাদি। এই তো?
       হুম, শওকত বলল।
       প্রত্যেকটা মানুষ তার ধর্মের স্রষ্টার সঙ্গে সে নিজেই যোগাযোগ করুক। কেউ মধ্যস্থতা করবে না।
       মন্দির-মসজিদ থাকবে না? শওকত বলল।
       না থাকলেই ভালো। তোমরাই বলো, তোমাদের স্বর্গে বা জন্নতে ক'টা মন্দির বা মসজিদের উল্লেখ আছে? কেউ যদি গভীর জঙ্গলে বা মরুভূমিতে বা মাঝসাগরে কোনো দ্বীপে গিয়ে পড়ে সে তার স্রষ্টাকে ডাকতে পারবে না, সেখানে মন্দির-মসজিদ নেই বলে?
       তা কেন? নিশ্চয় পারবে? জনার্দন বলল। শওকত বলল, আমি তো ট্রেনেও নামাজ পড়েছি, তো?
       সে কথাই বলছি। মানুষ নিজের সাথে যখন একা হবে তখন সে নিজের স্রষ্টাকে চিন্তা করুক। ডাকুক।
       এভাবে ধর্ম টিকবে না..., জনার্দন বলল।
       কিন্তু ঈশ্বর টিকবে। নীতি টিকবে। তোমাদের কি মনে হয় এতে মানুষ দুর্নীতিপরায়ণ হবে? আল্লাহ্ বা ঈশ্বরকে একা একা ডাকলে? তিনি যদি থাকেন তিনি কি তাদের বিবেক দেবেন না?
       তা কেন? জনার্দন বলল। ঈশ্বর করুণাময়।
       শওকত বলল, খুদাও।
       তবে তোমরা যাকে ধর্ম বলছ, সেই ধর্ম মানে একটা দল, সেটা টিকবে না। তাই তো?
       শওকত আর জনার্দন চুপ।
       চিলগুলো পায়খানা করে করে ডাক্তারের সারা মাথা সাদা করে দিয়েছে। সাদা মেঘগুলো ছদ্মবেশে বাতাসের সাথে ঢুকে ঢুকে ডাক্তারের ফুসফুসটাকে ফুলিয়ে যাচ্ছে। ডাক্তারের শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে।
ডাক্তার তবুও হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, আচ্ছা বলো তো, কোন মসজিদে, বা কোন মন্দিরে তোমাদের মানুষের গলা কাটতে শেখানো হয়? মানুষ দল বাঁধলে শুধু সমাজ হয় না, দল বাঁধলে শয়তানও হয়।
       শওকত বলল, শয়তান মানুষের মনেই থাকে। আল্লাহ্ দূর করে দেয়। আমরা মানুষকে সঠিক পথ দেখাই।
       ডাক্তার হেসে বলল, তুমি কি নিজে জানো কোনটা সঠিক পথ?
       শওকত বলল, কোরাণে যা লেখা আছে। জনার্দন বলল, না বেদ, আদি গ্রন্থ।
       ডাক্তার বলল, আর তোমাদের বুদ্ধি-বিবেক-ভালোবাসা? সেকি তোমাদের ঈশ্বরের বা আল্লাহ্-র দেওয়া নয়?
       চীৎকার করে উঠল দু'জনে। না! সব ওই গ্রন্থে আছে। তার দু'জনে একসাথে লাফিয়ে ডাক্তারের বুকে লাথি মারল। ডাক্তার ছিটকে পড়ল ছাদ থেকে। একটা আবছা আর্তনাদ শোনা গেল। চিলগুলো ডানা ঝাপটিয়ে উল্লাস করল, মেঘেরা নিজেদের মধ্যে কোলাকুলি করল।
       শওকত আর জনার্দন আবার মুখোমুখি। রাত হয়ে গেছে। পূর্ণিমার চাঁদ উঠল নিস্তব্ধ শ্মশানপ্রায় দিল্লীর বুকে।
       জনার্দন আর শওকত দুটো ইটের টুকরো নিয়ে মুখোমুখি বসে। চাঁদের কোণাগুলো ঠোকরাচ্ছে চিলের দল। সাদা মেঘেরা আড়াল করতে চাইছে চাঁদের আলো।
       হঠাৎ দূর থেকে একটা বাচ্চার চীৎকার শোনা গেল। শওকত শুনল, আব্বাজান... জনার্দন শুনল, পিতাজী......
       চমকে উঠে দাঁড়িয়ে দু'জনেই ছাদের কোণায় এলো। দু'জনেই উপুড় হয়ে শুয়ে কান পেতে, কে ডাকল? তাদের বাচ্চা? বেঁচে আছে? মরেনি?
       ডাকটা আবার এলো।
       শওকত আলি ফুঁপিয়ে উঠে বলল, মেরে বেটি... আমার মেয়েটা হবে.... খামচে ধরল জনার্দনের পিঠ। বলল, মেহেরবানি করে তোমাদের লোককে থামতে বলো, আমি আর কিচ্ছু চাইনা... ভারত তোমার থাক, আমি শুধু আমার বাচ্চা মেয়েটা আর আমার বুড়ো মা-বাপ আর বউটাকে নিয়ে বাঁচতে চাই... কোথায় যাবো বলো? তোমরা বলো পাকিস্তান যাও, আফগানিস্তান যাও, বাংলাদেশ যাও... আরে ভাই যেখানে জন্মেছি, বড় হয়েছি, ভালোবেসেছি সেই তো আমার দেশ... ভারতের মসজিদ আমার মসজিদ, পাকিস্তান বাংলাদেশের মসজিদ নয় রে ভাই... আল্লাহরও মাটি হয়, এই মাটিতে জন্মেছি এই মাটিতেই গোর নিতে চাই ভাই...
       শওকত আলির চোখে জল। সেই জলে চিলে ঠোকরানো চাঁদের ছায়া।
       জনার্দন উঠে শওকতের হাত চেপে বলল, যারা মারছে তারাও আমার লোক নয় রে ভাই। ওদের মাথায় বিষ ঢোকানো হয়েছে। মিথ্যাকথাকে সাজিয়ে সাজিয়ে হাতে তরবারি দেওয়া হয়েছে। তোমাদের লোককেও তাই। তরবারি আর রক্তে না মেলে শান্তি, না মেলে দেশ। তুমি যে বাচ্চাটার কথা বললে, ও তো আমারও বাচ্চা হতে পারে, আমার ছেলেটা... এইটুকু বড়ো....
       জনার্দন হাত তুলে দেখালো। শওকত তার হাতটা দেখে বলল, মেরে বেটি জ্যায়সি....
       দু'জনেই কাঁদল। বোতলের জল আর বাকি রুটিটা খেল একসাথে। তারপর নীচে নামতে শুরু করল। একেবারে নীচে নেমে এল যখন তখন মাঝরাত।
       গলির মুখে একটা গোঙানি। ড্রেনের পাশে। দৌড়ে গেল দু'জনে। ডাক্তার!! বেঁচে!
       শওকত বলল, একে এখনি হাস্পাতালে নিয়ে গেলে বেঁচে যাবে।
       জনার্দন বলল, কিন্তু দাঙ্গা?
       দু'জনেই উলঙ্গ হল। সম্পূর্ণ উলঙ্গ দু'জন মানুষ। ডাক্তারকেও উলঙ্গ করে দু'জনে মিলে কাঁধে নিয়ে হাঁটতে শুরু করল। একজন ডাক্তারের মাথার দিক। আরেকজন পায়ের দিক। তাদের দু'জনের লিঙ্গ থেকে বিন্দু বিন্দু পড়ছে রক্ত। থেঁতলে দিয়েছে লিঙ্গের মুখ। নিশ্চিহ্ন ধর্ম। একজনের বুকে বাজছে আল্লহ্-র নাম। আরেকজনের বুকে রাম নাম। দু'জন পিতা চীৎকার করতে করতে দৌড়াচ্ছে, চারদিকে শব রক্তের মধ্যে, উজ্জ্বল পূর্ণিমা ধোয়া রাস্তায়, বলছে, জিনে দো... আল্লাহ্কে নাম সে... ঈশ্বরকে নাম সে... হামারে ছোটে ছোটে বাচ্চে হ্যায়... ভারত তোমাদের থাক... আমাদের ভারত থালা-বাসন, বাবা-মা, বাচ্চা, বউ, ভাই-বোন ঘেরা পরিবারে.... আমাদের ক্ষেপিও না.... আমাদের বাঁচতে দাও....
       দূরে বাচ্চাদের কান্না... আব্বাজান... পিতাজী....
       আকাশে উন্মাদ চিলের গর্জন.... সাদামেঘের আস্ফালন...
       রাজঘাটে জ্বলা একটা শিখা থেকে গুনগুন আওয়াজ... ঈশ্বর আল্লাহ্ তেরে নাম... সব কো সম্মতি দে ভগবান.....
 
[ছবি - Suman]