মানুষের একটা ক্ষমতা আছে। তাকিয়ে থাকতে থাকতেও, না দেখার। অনর্গল কথা বলতে বলতেও আসলে কোনো কথা না বলার। কাছে বসে থেকেও কাছে না থাকার। সাড়া দিয়েও সাড়া না দেওয়ার।
তার ভাবনার শরীর, রক্তমাংসের শরীরের থেকে দূরে হেঁটে বেড়াচ্ছে হয় তো। হয় তো কোনো ছায়ায় বসে আছে। জানে সে। কিন্তু ইচ্ছা করছে না তাকে ডাকে। সে ঘুরুক। আমি প্রক্সি দিয়ে যাই। এই ভাবনা।
তুমি কি বলবে, এ চোট্টামি?
একদম না। এ হল বাঁচার কৌশল। সব নেমন্তন্ন কি রক্ষা করতে মানুষ সব সময় পারে, ইচ্ছা করে? সব ডাকে কি সাড়া দেওয়া যায় সব সময়? তখন না আর হ্যাঁ এর মধ্যে কোথাও প্রক্সি দিতে হয়। দিতেই হয়। নইলে লোকে অসামাজিক মানুষ বলে। আর তাই-ই হয় তো পর্দা আর পাল্লা দুটোই আবিষ্কার করেছে মানুষ, জানলায়, দরজায়। যখন দরজায়, কি জানলায় পাল্লা দেওয়া না যায়, পর্দা তো টানাই যায়! নইলে এত কোলাহলে নিজেকে নিয়ে বাঁচে কি করে মানুষ!
(ছবি: Debasish Bose)