Skip to main content

সবাই জানে বিশুদার চায়ের দোকানে যে খোঁচা খোঁচা দাড়ি মানুষটা খালি গায়ে, চেকচেক লুঙ্গি পরে খবরের কাগজ পড়ে রোজ সকালে - সে আসলে ঈশ্বরের প্রতিবেশী।

এ ও সে মাঝে মাঝে পুরোনো খবরের কাগজ নিয়ে আসে, লোকটার পাশে বসে, ফিসফিস করে প্রশ্ন করে লোকটার কানে কানে।

কেউ বলে, ঈশ্বরের বাড়ির বাগান কি আকাশে ছুঁয়ে থাকে?

কেউ বলে, ঈশ্বরের আইফোন কতগুলো? গাড়ি কটা? সব সময় সে নাকি এরোপ্লেনে ঘোরে?

কেউ বলে, ঈশ্বরের নাকি লজেন্সের গুদামঘর? খেলনা সব ছড়িয়েছিটিয়ে এদিক ওদিক?

কেউ বলে, ঈশ্বরের আশেপাশে ঘোরে কত উলঙ্গ নারী? শয্যা নাকি অগুনতি, ষোড়শীতে সব ছেয়ে?

কেউ বলে, ঈশ্বর নাকি আমেরিকায় থাকে, হোয়াইটহাউসে? নাকি লাস ভেগাসে?

কেউ বলে, ঈশ্বর নাকি রাগী? নাকি কামুক? নাকি হিংসুটে? নাকি জটিল রাজনীতিবিদ? একচোখা? ক্যাপিটালিস্ট না সোশ্যালিস্ট?

কেউ বলে, ঈশ্বরের হাগা হয় রোজ সকালে পেট পরিষ্কার করে? বুকে কফ জমে? ঘুমায় ঠিক রাত থেকে সকাল, একটানা? প্রেশার সুগার নেই নাকি? বাত?

লোকটা কারোর প্রশ্নের উত্তর দেয় না। খবরের কাগজটা মুড়ে, চায়ের ভাঁড়টা ডাস্টবিনে ফেলে অদৃশ্য হয়ে যায়। তার ছেঁড়া জামা, উসকোখুসকো চুল - এই সব মিলিয়ে কেমন একটা গরীব গরীব চেহারা। কেউ তাকে পছন্দ করে না।

সে একবার জিজ্ঞাসা করেছিল, কেউ তোমরা ঈশ্বরের প্রতিবেশী হবে? কয়েকটা বাড়ি ফাঁকা আছে আশেপাশে।

কেউ রাজি হয়নি। এমনকি চায়ের দোকানীও না। বরং চায়ের দোকান বন্ধ রেখেছিল পনেরোদিন।

Category