সৌরভ ভট্টাচার্য
10 October 2019
আমি জানতাম না যে আজকাল প্রোটেকশান নিয়েও কোনো কাজ হয় না।
একবার ভাবলাম কোম্পানির বিরুদ্ধে দিই মামলা ঠুকে। কিন্তু পরে শুনলাম অনেকেরই নাকি একই অভিজ্ঞতা।
হতাশ লাগল, তবে? মানুষ কি করবে? এইটুকু স্বাধীনতা সে পাবে না? সেই পুরোনো পদ্ধতিতেই বাঁচতে হবে?
একজন বলল, মানিয়ে নে, আমরাও তাই করেছি। ওইভাবেই রাতগুলো কাটছে।
আমি বিরক্তি নিয়েই জিজ্ঞাসা করলাম, মানে? সেই মান্ধাতা আমলের পদ্ধতি? তবে আর বিজ্ঞানের কি অগ্রগতি হল? সেই তো একই বাধ্যবাধকতায় আটকা রইলাম।
বন্ধু বলল, নইলে আর কি করা যাবে। কিছু হয়ে গেলে কত খরচা জানিস? নার্সিংহোমগুলো গলা কেটে নেবে। তাই...
অগত্যা...যদি গুডনাইটও হলুদ বাতি জ্বেলে মশা থেকে প্রোটেকশন না দিতে পারে, তবে সেই আদ্দিকালের মশারিই তো ভরসা....সারা গায়ে তো আর ক্রিম মেখে রাতে শোয়া যায় না....
মানুষের রাতের স্বাধীনতাটুকু অন্তত থাকবে না গো? একটু হাত-পা ছড়িয়ে শোবে না সে! ..সারাদিন তো হাজার জালে আটকেই...রাতেও সেই জালের মধ্যেই...যত্তসব ..!