Skip to main content

 

প্রবলেম অব ইভিল - এক সময়ে ধর্মের জগতে, দর্শনের জগতে খুবই আলোচ্য বিষয় ছিল। সর্বমঙ্গলময়ের জগতে অমঙ্গল কেন? শয়তান, অসুর ইত্যাদি নানা তত্ত্ব দাঁড় করানো হয়েছিল।

তারপর ধর্মের জগতের পর এলো ফরাসী বিপ্লবের যুগ। মানুষ রিজনবল হতে শিখল। নিজের যুক্তির উপর দাঁড়াতে চাইল, প্রমাণের উপর দাঁড়াতে চাইল। সাহিত্যে জন্মালো ভিলেন, বদলোক।

এরপরে এলো বিজ্ঞানের যুগ। মনোবিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান ক্রমে সবল হতে শুরু করল। এলো ফরেনসিক সাইকোলজির যুগ।

“Forensic psychology in India is an evolving field with significant potential to impact the criminal justice system. While it currently faces challenges such as limited resources, lack of awareness, and cultural diversity, there are growing opportunities for education, research, and professional practice. As the field continues to develop, it is likely to play an increasingly important role in legal proceedings, criminal investigations, and the rehabilitation of offenders in India.” (by AI)

কমাস আগেই একজন অপরাধীকে জেল থেকে ছুটি দেওয়া হল। এক শিশুকে ধর্ষণ করে জেলে গিয়েছিল। জেল থেকে বেরিয়ে মাস না পেরোতেই সে একই অপরাধে আবার জেলে গেল। টাইমস অব ইণ্ডিয়ায় ছোট্টো একটা খবর বেরিয়েছিল।

উত্তর প্রদেশের সিরিয়াল কিলার ধরা পড়ল। জানা গেল তার ছোটোবেলার সৎমায়ের অত্যাচারের গল্প। তার আক্রোশের গল্প। কীভাবে তার মনোজগতে এর প্রভাব পড়েছে তার গল্প।

আর জি করের অপরাধে অভিযুক্ত অপরাধীরও আগে বিকৃত যৌনাচার সংক্রান্ত অপরাধের উল্লেখ আছে পড়লাম।

একবার নয়, বহুবার পড়লাম একই জিনিস, সে এরকম অপরাধ আগেও করেছে। ক্ষমা চেয়ে বা কোনোভাবে পার পেয়ে গেছে। “ডার্লিং” সিনেমা মনে করুন যেখানে সে বারবার ক্ষমা চাইত। “মাইন্ড হান্টার”, “থ্রু দ্য ডার্কনেস” ক্রিমিনাল প্রোফাইল তৈরির বাস্তব ঘটনা নিয়ে বানানো সিরিজ। ক্রিমিনাল প্রোফাইলিং না হয় অত্যাধুনিক, অত্যন্ত সুক্ষ্ম একটা পদ্ধতি। কিন্তু ভারতে ফরেনসিক সাইকোলজির কী অবস্থা? আমাদের বিচারের আগে বিশ্বাস দৌড়ায়। আমাদের নতুনের আগে পুরোনো অভ্যাস সংস্কার আর ঐতিহ্যের নামে দরজা আটকায়। আমাদের আবেগ ধৈর্য নির্ভর গবেষণার থেকে সরে গিয়ে শর্টকাট কিম্বা আধিভৌতিক তত্ত্বে সমাধান খোঁজে। ai নির্ভর কিছু তথ্য দিলাম।

১) Lack of Awareness and Understanding: There is limited awareness and understanding of forensic psychology among legal professionals, law enforcement, and the general public in India. This can lead to underutilization of psychological expertise in the criminal justice system.

২) Resource Constraints: The field faces significant resource constraints, including a shortage of trained forensic psychologists, limited funding for psychological services in the criminal justice system, and inadequate infrastructure for implementing forensic psychological interventions.

৩) Cultural and Social Diversity: India’s vast cultural, linguistic, and socio-economic diversity poses challenges for forensic psychologists, who must account for these factors when conducting assessments and providing interventions.

৪) Legal and Ethical Challenges: Forensic psychologists in India must navigate complex legal and ethical issues, particularly regarding confidentiality, consent, and the use of psychological assessments in legal proceedings.

সেন্টিমেন্ট বাস্তব। ক্ষোভ, রাগ, প্রতিবাদ অবশ্যই হওয়া উচিত। কিন্তু পাশাপাশি এও মনে রাখতে হবে সেন্টিমেন্ট শান্ত হয়ে যায়। ক্ষোভের আগুন মিলিয়ে যায়। রাস্তাঘাট, সোশ্যাল মিডিয়া আবার আগের ছন্দে ফিরে আসে। কিন্তু বিচার-বিশ্লেষণ গবেষণা চলতেই থাকে। আর আমাদের সভ্যতার ভবিষ্যৎ সেই বিজ্ঞানের হাতেই। মস্তিষ্ককে আরো গভীরে বুঝতে হবে। মানুষের প্রকৃতিকে অবজেক্টিভলি, এম্পেরিকালি, পরীক্ষামূলকভাবে আরো আরো জানার আছে। সেই অনুযায়ী কোনো মানুষ আচরণের মধ্যে কোনো রেড ফ্ল্যাগ দেখতে পেলে তাকে চিহ্নিতকরণ আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার রাস্তা তৈরি করতে হবে। শুধুমাত্র “দুষ্টুলোক” বলে দায় সারলে চলবে না। মনোবিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান এখন অতটাও দুর্বল তো নয়!

একজন মানসিকভাবে বিকৃত মানুষের কাছ থেকে সব সময় যে সিসিটিভি আর পুলিশ বাঁচাবে তার কী মানে আছে? কত কত পরিবারের মধ্যে, ঘরের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে চলেছে। সেখানে উপায় কী হবে? শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন ৯৬% শতাংশ বেড়ে গেছে। কেন বাড়ছে? কেন এমন মানসিক বিকৃতি আসছে? তার থেকে বাঁচার উপায়, সমাজকে সুস্থতার রাস্তা দেখানোর ভার অবশ্যই এখন বিজ্ঞানের। সেই বিজ্ঞানের প্রয়োগ, আগ্রহ যাতে আরো আরো বাড়ে সে বিষয়ে আমাদের আরো তৎপর হওয়া উচিৎ। বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত সম্পদকে কী করে কর্মকুশলতায় আনা যায় সেও দেখার। প্রয়োগের দিকটা আরো স্মার্ট না হলে আধুনিক সমাজের জটিলতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা দুষ্কর হবে। শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে সমাজের আরো নানা স্তরে এ সম্বন্ধে সচেতনতা আনতেই হবে। কথাটা ভালো-খারাপ না, কথাটা সুস্থ- অসুস্থতার। প্রথমটা সাবজেক্টিভ। মূল্যায়ন সেভাবে সম্ভব নয়। কিন্তু পরেরটা অবজেক্টিভ। শুধু গুলি করে মেরে ফেলে সে সমস্যা থেকে সমাধানের রাস্তা পাওয়া যাবে না।