একটা দেওয়ালে হাতুড়ি মারল কয়েকজন। তারা ভেবেছিল হাতুড়ির বাড়ি পড়তেই ইটগুলো ফুল হয়ে এসে তাদের পায়ের কাছে পড়বে। কিম্বা ইটগুলো বকের মত আকাশে উড়ে মিলিয়ে যাবে।
হল না। ইটগুলো হুড়মুড় করে পড়ল পায়ে। পা ভাঙল। ইটের কুঁচি চোখে এসে পড়ল। চোখের সাদা হল লাল।
সব্বাই মিলে ইটগুলোকে চূড়ান্ত গাল পাড়ল। ধিক্কার দিল। থুতু ছিটাল। বলল, ওরা বর্বর, ঈর্ষাকাতর, ভীতু।
কেউ বুঝতে চাইল না, ধাক্কা মানে ঔদ্ধত্য কিনা। কেউ জানতে চাইল না, ওটা পাঁচিল ছিল, না সীমানা না দেওয়াল। কেউ বলল না, শহরটায় শুধু পাঁচিলই নেই, অনেক বড় বড় দীঘি আছে। যেখানে মুক্তবিহঙ্গের মত আচরণের সাক্ষ্য দেয় ভালোবাসা। সেখানে কোনো ইট নিজের থেকে যায় না পায়ে পড়তে। পাঁচিল তোলা নেই কোনো। সেখানে ভালোবাসা ইতস্তত ছড়িয়ে সিক্ত বেলুন হয়ে।
সব্বাই বলে বেড়াচ্ছে শহরটায় নাকি শুধু পাঁচিল আর পাঁচিল। আর ইটগুলো নাকি খামোখাই এর ওর পায়ে এসে পড়ে রক্তাক্ত করে। একটা বিচ্ছিরি শহর। পচা শহর।
অথচ এই শহরই শিখিয়েছে চিত্তের স্বাধীনতা কাকে বলে। তবু তোমরা এ শহরে থাকবে, পাঁচিল ডিঙিয়ে যাবে। নতুন আলো আনবে। পাঁচিলের উপর রাখবে। কিন্তু অবশেষে বলবে শুধু পাঁচিলই ছিল। এটা বেইমানি। প্রতিবাদ হোক। ইতিহাস আর চরিত্র বাদ না। বেইমানি না।