মা তারা এক্সপ্রেস। কার কাছে যান? রবীন্দ্রনাথ, না বামাক্ষ্যাপা? নিরাকার ব্রহ্ম? না, মা?
"কী রে, ফোন করেছিস"?
এক মধ্য বয়স্কা মহিলা পান মুখে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। জিজ্ঞাসার মধ্যে শঙ্কা।
যার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন, সে অল্প বয়েসী, কপালে সিঁদুর, হাতে শাঁখা, পাশে বসা তার ছয় সাত বছরের ছেলে। সে জানলার দিকে তাকিয়ে বলল, থাক।
একটা ছোটো শব্দ। কী অভিমান! বাইরে তখন পুকুর ভর্তি পদ্মের মত ফোটা ফুল। ওগুলো পদ্ম নয়। যেমন সব বাসা ভালোবাসা নয়।
তার চোখে অভিমান। ছলছল। বাচ্চা ছেলেটার পা মায়ের কোলে। মা অল্প অল্প করে টিপে দিচ্ছে আদরে। পাশে ডেকে যাচ্ছে ছোলা, ঝালমুড়ি, সিঙ্গাড়া, ঠাণ্ডাজলের হকারি।
বাচ্চাটা বলল, থাক, কমেছে ব্যথা। মা হাসল। বলল, বেশ।
যে মা যাচ্ছে মায়ের চরণ ছুঁতে, হয় তো প্রার্থনা জানাতে একটু সুখের, শান্তির, সে নিজে এখন ছেলের পা টিপে দিচ্ছে। ছেলেকে শান্তি দিতে। সুখ দিতে।
মানুষের সব আছে, সুখ-দুঃখ, দর্শন, ঈশ্বর। প্রাণে একটা আকাঙ্খা, বাসার, ভালো বাসার।