গভীর রাতে দরজায় টোকা।
বাবা, আমি এসেছি, তুমি কি ক্ষমা করবে আমায়?
বাবা দরজা খুলে দাঁড়ালো।
ছেলে মাথা নীচু করে পা ছুঁলো বাবার। বাবা বলল, শুধু আমি না, আমার চোদ্দো পুরুষ অপেক্ষা করছে তুই ফিরে আসবি বলে। ঘরে এসে দেখ।
ছেলে ঘরে ঢুকল। চোদ্দো প্রদীপের শিখা উঠল নেচে। ছেলে বাবার দিকে তাকালো। চোখে জল। বাবা সজল চোখে বলল, তোর মা ঠাকুরঘরে আছে, চল।
ছেলে ঠাকুরঘরে এসে মায়ের পাশে বসল। জিজ্ঞাসা করল, আমায় ক্ষমা করেছ? ফিরিয়ে নেবে আমায়?
মা তাকালো রাধামাধবের দিকে। বলল, উনিও অপেক্ষা করছিলেন তুই ফিরবি বলে।
ছেলে রাধামাধবের দিকে তাকালো। প্রদীপের আলোয় এসে পড়ল এক পোকা। পোকাটা ছটফট করে মারা গেল। ছেলেটার মুখটা শুকিয়ে গেল। বুকে বাজল অশনিসংকেত। সে বলল, আমিও কি তবে...
একটা জোনাকি এসে বসল রাধামাধবের বাঁশির উপরে।
মা বলল, পুড়েই তো মানুষ সোনা হয়। যদি সে আগুন হয় অনুতাপের। ছেলেটার সজল চোখে জাগল হাজার শিখার প্রতিবিম্ব। তার পিঠ ছুঁলো বাবার হাত। মাথা ছুঁলো মায়ের হাত। একেই তো ফিরে আসা বলে। ক্ষমায়। ভালোবাসায়।