Skip to main content


        হার্দিক প্যাটেল মধ্যপথে অনশন ভাঙিল। কোন সুজাতা পরমান্ন লইয়া আসিয়া ছিল জানা নাই। ইনি আবার 'মধ্যপথে'ও আস্থা রাখেন না। রাজনীতির কেহই রাখে না অবশ্য। নানাপ্রকার ছল-কৌশলই পাথেয় রূপে যথেষ্ট। নিন্দুক আবার কহিয়াছে ইনি গোপনে ক্ষুধাসুরকে নৈবেদ্যও অর্পণ করিয়েছেন। সে নিন্দুকের কথা থাক। কথা হইল, পথের অভিমুখ কি জন-উদ্দেশ্য-সিদ্ধিতে না আত্মসিদ্ধিতে? ভবিষ্যৎ বলিবে।

        অন্যদিকে টুটুবাবু একটি বেফাঁস কথা বলিয়া ফাঁসিয়াছেন। বহু ভারতবাসীর অবচেতনার কথা জিহ্বায় আনিয়া বিপদ ঘটাইয়াছেন। তিনি ভুলিয়া গিয়াছিলেন, যে কারণে ভারতে গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ অনৈতিক, সেই কারণটিকে অমন জনসমক্ষে বলিতে নাই। ইদানীং একটি ইউটিউবের ভিডিওতে দেখিয়াছি কি অনায়াসে মানুষ সদ্যজাত কন্যাসন্তানকে জঙ্গলে নিক্ষেপ করিতে, শ্বাপদ কর্তৃক ভক্ষণ করাইতে পরামর্শ দিতেছে, একবার কণ্ঠস্বরও কাঁপিতেছে না। সেই অর্থে টুটুবাবু অশোভন কথা বললিলেও সিংহভাগ ভারতবাসীর মনের অকপট পরিচয় দিয়াছেন, সেই অর্থে তিনি সাধুবাদের যোগ্য। "এখানে ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ করা হয় না" - এই ঘোষণাপত্রের যথার্থতা তিনি আপন অকপট বাক্যের মাধ্যমে ভারতবাসী তথা বিশ্ববাসীকে জানাইয়াছেন। 
        সত্যই ইন্ডি-সেপিয়েন্স, বড়ই বিচিত্র এ দেশ!