ঠিক কোনদিকে কি ভাবে দাঁড়াব, বুঝতে পারছি না
ছবিটা না দেখা অবধি তো সেরকম কিছু মনে হয়নি
বেশ হাসি-ঠাট্টা-আমিষ-নিরামিশ কথাবার্তা হচ্ছিল
বিষয় - বন্ধুর মেয়ে দেখা পর্ব
মেয়েটার ছবিটা দেখেই বুকের ভিতর
আচমকা ঘুমন্ত কুকুরের পেটে লাথি মারলে যেমন শব্দ হয় -
হুম, তেমনই খানিকটা হল
বাইরের হাসি-ঠাট্টা বাইরের হল, ভিতরে কান্না এলো
মেয়েটা কি ভয় পাচ্ছিল? কিসের যেন আশঙ্কা -
আমার বোনের মুখটা মনে পড়ল, আরো জোরে কান্না পেল
সেসব দিন অতীত এখন
তবু সেই বাধ্য হয়ে সাজতে বসা...
চোখে চোখে শতচোখের দ্বন্দ্বযুদ্ধ -
খুঁত ঢাকা আর খুঁত ধরার...
পছন্দ হল?
ফিরে এসে একটা একটা সাজ খুলে ফেলা...
আবার সাধারণ ঘরোয়া পোশাকে ঘোরা...
কিছু উত্তর দিল? হ্যাঁ গো, কিছু বলল ওরা?
না বলল। বোন আবার তৈরী হ...সাজ কই রে সাজ?
আমার চোখে অকাল, অবুঝ জল
বাথরুম এলাম...
কার দিকে তাকাই... সামনে বহুচিন্তার সাক্ষী বাথরুমের চার দেওয়াল
বাথরুম... আমার নির্বাসনের ঘর... স্বাধীন চিন্তার প্রশ্রয়
এখানেই নির্ভয়ে উলঙ্গ হওয়া... সমাজের ছাড়পত্র...
সমাজ বাথরুমে ঢোকে না...
আচ্ছা আমায় যদি এভাবেই দেখতে আসত, এই নজরে...
কানের কাছে যাওয়ার আগে কেউ ফিসফিসিয়ে বলত...
এমনভাবে বোসো যেন পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যপ্রস্থ যায় বোঝা!
কতটা পুরুষ্টু ওটা?
চোখে জল দিয়ে বাইরে এলাম
সামনে ভাসছে এখনো সেই ছবি
আরো একটা সজল চোখ, মনের উঠানে একা
- বিদ্যাসাগর
আচ্ছা এমন হয় না, যেদিন বলবে সমাজ, পাত্রপক্ষ -
"মেয়ে দেখতে না, পরিচয় করতে যাচ্ছি”
মানুষে মানুষে পরিচয়ই তো হয়-
দেখা-দেখি তো মানুষে পশুতে...
তাই না?