Skip to main content


    দোকানে তালা লাগিয়ে, তালাটা একবারও টেনে দেখার ইচ্ছা যখন হল না, তখন আর বাড়ি না গিয়ে বড় রাস্তার মোড়ে, উজ্জ্বল হলুদ আলোটার নীচে বসে, কুকুরগুলোকে ডাকলেন। 

    কুকুরগুলো পরিচিতের মত ঘিরে বসল যখন, উনি ব্যাগ থেকে দুটো বিস্কুটের প্যাকেট খুলে, বিস্কুটগুলো ছড়িয়ে, কারোর কারোর গায়ে হাত বুলিয়ে বললেন, খা। 

    কুকুরগুলোর বিস্কুট চিবানোর মস মস আওয়াজ শুনতে শুনতে, তাদের মুখ থেকে লালার ধারা রাস্তায় পড়তে দেখতে দেখতে, নিজের ছোটোবেলার কথা মনে পড়ছিল, যখন খাবারের চেয়ে লালা বেরোতো বেশি, খিদের চেয়ে খাবার ছিল কম। 

    কুকুরগুলো তাকে ঘিরে ছড়িয়েছিটিয়ে বসে, বসন্তের হাওয়ায় রাস্তায় উড়ে যাচ্ছে মানুষের তৈরি করা, মুহূর্তে আবর্জনা হয়ে যাওয়া নানা জিনিস, ঘুমন্ত শহর জানে না, এখন কত রাত। 

    প্রাচুর্যের একঘেয়েমি কাটিয়ে, ওষুধে, পথ্যে বাঁচা শরীরটাকে, এই রাস্তার শুইয়ে দিলেন, কোনো কুকুর আপত্তি করল না, আকাশ আর ভূমি জায়গা পরিবর্তন করল শুধু। 

    যদিও মৃত্যু এখন অপরিচিত গন্তব্য লাগে না, তবু সারা পৃথিবীটা খুঁজেও পাওয়া গেল না কিসের যেন খোঁজ শেষ হল না এখনও, কিসের জন্য যেন একটা অতৃপ্তি বাসি মুখের গন্ধের মত লেগে থাকে মাথায় রাতদিন। 

    ভোর হল, সবটুকু শক্তি দিয়ে রাস্তায় দাঁড়ালেন, চেনা বাজার জেগে ওঠার আগেই নিজের নগ্ন মন আত্মা আর মস্তিষ্ককে দেউলিয়া দেখানোর লজ্জা ঢাকার জন্য বাড়ির দিকে এগোলেন, রাস্তার কুকুরদের সঙ্গে আত্মীয়তাকে আড়াল করে, ভূমি আর আকাশের জায়গাকে আবার আগের মত বদল করে আবার।