শঙ্করাচার্য লিখেছিলেন, জীবন পদ্মপাতায় জলের মত চঞ্চল।
ব্যাসদেব লিখলেন, পদ্মপাতায় জলের মত নিরাসক্তভাবে বাঁচো।
পদ্মপাতায় বৃষ্টির জল জমেছে।
চাঁদের প্রতিচ্ছবি টলটল করছে।
আমি কি মুখ ফিরিয়ে নেব?
আমি কি অপেক্ষা করব জলটা গড়িয়ে পড়ার?
"তখন পাতায় পাতায় বিন্দু বিন্দু ঝরে জল
শ্যামল বনান্তভূমি করে ছলোছল"।
রবীন্দ্রনাথ গাইতে শেখালেন।
সব অসম্পূর্ণ। সব অস্পষ্ট।
আমার নিত্য তো নেই
সব ক্ষণিকের
আমি নিজেও।
ফুরিয়ে যাব। যেতেই হবে।
অভিযোগ জানাব না,
তবে "এই ক্ষণকালই হোক সেই চিরকাল"।
কিছু বুঝিনি। কিছু জানিনি। কিছুই হাতের নাগালে পাইনি নিজের বলে।
দেখতে দেখতে মেঘে ঢেকে গেল চাঁদ।
দমকা হাওয়ায় জল পড়ল গড়িয়ে মাটিতে।
মাটি শুষে নিল।
শুকনো পদ্মপাতা।
ক্ষোভ হল না। শোক হল না।
জানি তো, শুকনো থাকবে না সে চিরকাল,
আবার জমবে নতুন বৃষ্টির জল।
বাঁশি বাজল।
বাঁশি সত্য
বাঁশির সুর সত্য
আর বাঁশি যে বাজায়?
সে যে সত্য মিথ্যার পার!