সৌরভ ভট্টাচার্য
14 March 2019
একটা হাতির শুঁড় বেয়ে সার দিয়ে পিঁপড়ের সার উঠছে। তারপর হাতিটার পিঠ বেয়ে হাতিটার পিছনের ডান পা দিয়ে নেমে, মাটিতে সার দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একটা নিমগাছের ফোকড়ে ঢুকছে। হাতিটা স্থির দাঁড়িয়ে। একটা নদী তার নীচ দিয়ে বয়ে চলে যাচ্ছে কুলকুল করে। পিঁপড়ের সারকে সে দক্ষিণ জঙ্গল থেকে উত্তরের জঙ্গলে পার করে দিচ্ছে। ক'দিন বাদেই প্রচন্ড বৃষ্টি হবে, দক্ষিণ জঙ্গল জলে প্লাবিত হয়ে এই নদীতে এসে পড়বে। উত্তর জঙ্গল কিছুটা নিরাপদ বৃষ্টিতে। তাই সকাল থেকে হাতিটা দাঁড়িয়ে। কয়েকটা পিঁপড়ে তার পিঠের উপর হাঁটতে হাঁটতে কামড়েও দিচ্ছে কুটকুট করে। ওরা ভাবছে, এটা বেশ মজা। হাতি তো নড়ে না। কিছু বলেও না।
হাতিটা স্থির দাঁড়িয়ে। সে জানে সামনের ঝোপে একটা বাঘ অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছে। সন্ধ্যের অপেক্ষায় আছে। পিঁপড়ের সারি তার আগে পার হবে কিনা সে জানে না। হাতিটা মাঝে মাঝে পাতার ছায়া দেখে বেলা কতটা বোঝার চেষ্টা করছে। ছায়া বড় হতে শুরু করল মানেই সূর্য পশ্চিম আকাশের দিকে ঢলতে শুরু করে দিয়েছে। পিঁপড়ের সারি চলছে তো চলছেই।
এই কথাগুলো ICU-এর চার নম্বর বেডে শুয়ে শেষ জ্ঞান আসার সময় বলাই মুখার্জি'র মনে পড়ছিল। সব পিঁপড়ে কি পেরিয়ে গিয়েছে? ছোটো ছেলেটার মুখটা মনে পড়ছে, ওর চাকরিটা হল কি....