Skip to main content
 
বসন্তের বৃষ্টি। ঘুম ভাঙতেই বিছানায় শুয়েই মনে হল, ইস!
কেন?
আহা, এমন বাদলে তুমি কোথা?
উঠতে ইচ্ছা করছে না। বৃক্ক সিঞ্চিত জলধারার আত্মপ্রকাশের তাগিদ উপেক্ষা করেই শুয়ে।
তবু, এমন বাদলে তুমি কোথা?
শুনলাম তুমি আসোনি। বুকটা খচ খচ করতে লাগল। এখনও আসোনি কেন? কেন?
গতকালের তোমার ভেজা শরীরটা মনে পড়ল। আমার খাটের উপর। শরীরের ভাঁজে ভাঁজে ভিজেছিলে। তোমায় ছুঁতেই আমার হাত গেল ভিজে। শিহরণ জাগল শরীরে আমার তোমার ঠাণ্ডা অঙ্গস্পর্শে। স্বরযন্ত্রের ল্যারেঞ্জাইটিসের ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে গাইতে লাগলাম গুনগুন করে, আজি এই গন্ধবিধুর সমীরণে। আম্রমুকুলের গন্ধ, জমাজলে আটকে শৌচনালির আত্মগর্বের আঘ্রাণ ইত্যাদি মিলে মোদিত বসন্ত। বালিতে চিনিতে মিশে আছে, মন পরমহংস হও, মুকুলের সৌরভ যদি বর্জ্যের ঘ্রাণ থেকে আলাদাই করতে না শিখলে তবে তুমি কিসের সৌরভ!
তবু তুমি কই?
কান পেতে কলিং বেলে, আমার কাউকে চাই না, শুধু তুমি এসো। যেভাবেই হোক এসো। আমার শূন্য সকাল, শূন্য শয্যা, তৃষিত দৃষ্টি... এমন বাদলে তুমি কোথা!!!
হঠাৎ কলিং বেলের আওয়াজ। তুমি! তড়াক করে উঠলাম। এই তো তুমি!!! আজও ভিজেছ! ভেজো ভেজো, সর্বাঙ্গ নিয়ে ভেজো, শুধু অস্পষ্ট হয়ো না..আমার তৃষিত আঁখির চুম্বনে ভরিয়ে তুলব তোমায় আজ। এসো। খাটে বোসো, আমি আসছি।
সে খাটে। আমি চেয়ারে। দুজনে মুখোমুখি....সমাজসংসার মিছে সব..মিছে এ জীবনের কলরব....
 
না না, আমার কলরব চাই..এবার তুমি বলবে..আমি শুনব...এই বসন্তে..যখন আম্রকলিকায়, পলাশে, শিমূলে রাঙা চারিধার..তুমি এসো..বর্ষা, শরৎ, গ্রীষ্ম..শীত...বসন্ত...তুমি তো আমায় ছেড়ে থাকোনি....এসো এসো..বসো...
ওগো আমার চিরকালের দৈনিক পত্রিকা...দ্য টেলিগ্রাফ...