ট্রিগারে আঙুল। কিন্তু নলটা কোনদিকে ফেরালে শান্তি?
বুদ্ধ বলল, যদি ফেরাতেই হয়, নিজের দিকে।
হিটলার বলল, না, উল্টোদিকে।
মানুষটা চীৎকার করে উঠল আকাশের দিকে তাকিয়ে -
হে পরমপিতা আমার! একি দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করলে তুমি আমার জন্য? কি কর্তব্য আমার?
মানুষটা বন্দুক হাতে ঘুমিয়ে পড়ল। বুদ্ধ, হিটলার ফিরে গেল। ধীরে ধীরে সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ল। অন্ধকার চারদিক। লোকটা কয়েক মাস দাঁড়িয়ে থাকার পর আজ ঘুমালো।
ঘুম ভাঙল ন'দিন পর। বন্দুকটার মুখে একটা কেঁচো বাসা করেছে। মাটির পর মাটি জমিয়ে মুখটা বন্ধ। পাশের ঝোপ থেকে একটা লতা এসে ট্রিগারটা জড়িয়ে আছে, যেন আত্মীয়। যে গাছটার তলায় ঘুমিয়েছিল, সে গাছের পাখিরা মলত্যাগ করে করে বন্দুকের কালো রঙটা সাদা সাদা ছোপে ভরিয়ে দিয়েছে।
মানুষটা উঠে দাঁড়াল। তার প্রতিপক্ষ সামনের মাঠে উপুড় হয়ে ঘুমাচ্ছে। সেও ঘুমায়নি কত মাস। পালিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছে। কার থেকে যেন? মনে পড়ে না।
মানুষটা লতানো গাছটায় ফোটা বেগুনি রঙের ফুল একটা ছিঁড়ে প্রতিপক্ষের ফোলা ফাটা পায়ের উপর রাখল। কাছ থেকে তার মুখটা দেখে মনে হল, যেন তারই মত দেখতে।
মাটিতে তীরের ফলা এঁকে বন্দুকটার দিকে দেখিয়ে রাখল। যদি জেগে উঠে মনে হয়, নেবে। সে বিনা বন্দুকে হাঁটবে আজ থেকে। হালকা হয়ে। মৃত্যুভয় মৃত্যুর চেয়ে ভারী, তার চাইতে ভারী কার্তুজ।