প্রশ্ন হইল,
মৃত্যু ঘটিল কি প্রকারে?
বিচারক বিজ্ঞান জানিতেন, অবশ্য জানিতেন বলিলে ভুল হইবে, বিশেষভাবে বুঝিতেনও। বিশেষভাবে আমরা যাহা জানি, তাহাই তো বিজ্ঞান!
তিনি কহিলেন,
হৃৎপিণ্ড স্তব্ধ হইয়া।
এমন অকাট্য যুক্তি স্বয়ং ধন্বন্তরি কিম্বা উইলিয়াম হার্ভেও অস্বীকার করিতে পারিবেন না। কোনো মানুষের পক্ষেই হৃৎপিণ্ড চলাকালীন মৃত্যু অসম্ভব বলিয়াই প্রতীত হয়।
কে যেন প্রশ্ন করিতে চাহিয়াছিল,
কিন্তু হৃৎপিণ্ড স্তব্ধ হইবার কারণ ছিল কি? উহা সমক্ষে আনা হোক।
হঠাৎ চারিদিক নিস্তব্ধ হইল। বিচারালয় হইতে কতগুলি কীট উড়িয়া গাছের পাতার আড়ালে লুকাইল। বেশ কিছু সরীসৃপ বুকে হাঁটিয়া বাহির হইয়া মাটির গর্তে প্রবেশিল। বাকি সব বায়বীয় হইয়া কোথায় যে মিলাইল কেহ বলিতে পারে না কিছু। প্রশ্নটি কেবল চারদিকে কাউকে না পাইয়া বিচারালয়ের বাহিরে আসিয়া উলঙ্গ হইয়া দাঁড়াইল। চারদিকের নিস্তব্ধতায় কারা যেন ফিসফিস করিয়া বলিল, পালাও, পালাও, এখনই কিছু একটা অনর্থ ঘটিবে!
সে পলাইল না। শুধু নগর ভ্রমিয়া হৃৎপিণ্ডগুলি পরখ করিয়া দেখিত লাগিল, মৃত শরীরগুলিতে উহারা চলিতেছে কি প্রকারে!
ভয় অন্ধকার আনয়ন করে, না অন্ধকারে ভয় উৎপন্ন হয়?
কে জবাব দিবে?
সৌরভ ভট্টাচার্য
10 September 2019