নকুড়বাবু ভীতু মানুষ। একা থাকেন। শুতে যাওয়ার সময় মাথার কাছে গীতা নিয়ে শোন। সেদিনই গীতাটা নিতে ভুলে গেছেন। ঘুম ভাঙল আড়াইটের কাছাকাছি। মশারিটা দুলছে। রাস্তার দিকের জানলার পর্দাটা দুলছে। বাইরে ঝড় হচ্ছে, বাজ পড়ছে। ফ্রিজের প্লাগটা খুলতে হবে। কিন্তু মশারির বাইরে নামতে হবে ভাবলেই হাত পা হিম হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দামী ফ্রিজ। এখনও ইনস্টলমেন্ট চলছে। এইভাবে নষ্ট হবে….
নামলেন। ঘরের আলো জ্বাললেন। ডাইনিংরুমের আলো জ্বাললেন। দেখলেন ফ্রিজের প্লাগটা খুলে স্টেবিলাইজারের মাথায় রাখা। তবে কি খুলেই শুতে গেছেন?
ডাইনিং এর আলো নিভিয়ে ঘরে এলেন। ঘরে এসে দেখলেন মাথার কাছে গীতাটাও রাখা। এত ভুলো মন হয়ে গেছে? নিজের ভুলো মনের কথা ভেবে হাসি পেল। আবার ভয়ও করল, বাপ ঠাকুর্দার রোগ তো!
এই সব ভাবতে ভাবতে মশারিটার গা দুবার ঝেড়ে, মশারিটার একদিক অল্প তুলে বিছানায় ঢুকে গেলেন হামাগুড়ি দিয়ে। বসলেন। পাশের বোতলে রাখা জল খেলেন। এই যা! আলোটা! ঘরের আলোটা নেভাতে তো ভুলে গেছেন!
আলোটা টুক করে নিভে গেল।