আমার পড়ার টেবিলের পাশে একটা ছবি আছে
সেই ছোটবেলা থেকেই।
না, কোনো ঠাকুর দেবতার নয়,
বা কোনো আলোকিত মহাপুরুষেরও না
ছবিটা মোহরদির - কণিকা বন্দোপাধ্যায়ের।
কেন?
খুব জানি না স্পষ্ট করে।
তবে উনি আমার কাছে প্রথম,
যিনি রবীন্দ্রনাথকে অনুবাদ করেছেন আমার প্রাণের ভাষায়, সুরে।
পাতার ছায়ায়, বর্ষার মেঘে, বসন্তের বাতাসে,
ভোরের শুকতারায়, ফাঁকা বিষন্ন দুপুরে, একলা সন্ধ্যায়, মোহরদির গলা।
জীবনের কোলাহলে হঠাৎ না বলে ঢুকেছে মৃত্যু,
সামলেছি মোহরদির গানে।
চেনা পথ ভুলে অচেনা রাস্তায় হাঁটতে হয়েছে,
আলো পেয়েছি মোহরদির গানে।
এক এক সময় মনে হয়,
জগতের রবীন্দ্রনাথ, আমার একান্ত ব্যক্তিগত
রবীন্দ্রনাথ হয়েছেন মোহরদির গানে।
আমার ক্লান্তিতে, অবসাদে, উচ্ছ্বাসে, প্রেমে অপ্রেমে, মোহরদিই থাকেন।
তাই বোধহয় তাঁর ছবি,
আমার টেবিলের মাঝখানে।
তাঁর গানেই আমার
প্রার্থনা - সান্ত্বনা - পরম বিশ্রাম।
[আজ ওঁনার জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলী]