প্রতিযোগিতায় দৌড়াতেই হবে কেন? হেঁটে দেখলে কেমন হয়?
হাঁটতে, হাঁটতে, অনেক পিছোতে পিছোতে, অনেক বন্ধু বানাতে বানাতে, অনেক বন্ধু হারাতে হারাতে বুঝে গেলাম -
বেশ লাগছে।
কেউ করুণা করল। কেউ নিরাসক্ত মহাপ্রাণ ঠাওরালো। কেউ সুচতুর মতলবী ঠাওরালো। আরো অনেকে অনেক কিছু ঠাওরালো।
আমি শুধু হাঁটতে হাঁটতে বুঝলাম, হাঁটাও যায়। বসাও যায়। দরকার হলে ঘুমানোও যায় খানিকক্ষণ। সবার দৌড়ের বেগে পায়ের ধাক্কায় ওড়া ধুলো আবার রাস্তায় থিতিয়ে পড়ে। আবার সব শান্ত হয়।
শান্ত ধুলো জিজ্ঞাসা করল, দৌড়ালে না?
আমি বললাম, না গো।
ধুলো বলল, বসবে?
আমি বললাম, বসেছি তো।
ধুলো বলল, সব শান্ত হলে তোমার কি মনে হয়?
আমি বললাম, ভরা দীঘির টলটলে জলের আনন্দ।
ধুলো বলল, যদি না পৌঁছাও?
আমি বললাম, সে ভয় নেই। ভয় হয়, যদি পৌঁছিয়ে গিয়ে নিজের আনন্দ খুঁজে না পাই! যদি আনন্দ ধার করতে মহাজনী কারবারে বাঁধা পড়ি!
সব শান্ত। দশদিক মিলে একদিক। একদিকে বাজছে সুর। সুরে জাগছে ব্যথা। ব্যথার মধ্যে জাগছে সত্য। সত্যের বুকে জাগছে আনন্দ।
ধুলো বলল, আমাকে মনে রেখো।
আমি বললাম, আমাকেও। মিশিয়ে নিও।