সৌরভ ভট্টাচার্য
11 August 2014
"কাল কত রাতে এসেছিলে?
ডাক নি তো?"
অমাবস্যার আকাশ বর্ষার মেঘকে জিজ্ঞাসা করল সন্ধ্যাবেলা।
"হ্যাঁ অনেক রাতে, তুমি তখন একবুক তারা নিয়ে ঘুমাচ্ছিলে।"
"হ্যাঁ গো,
চাঁদ ছিল না যে শোয়ার ঘরে,
তাই তারাদের সাথে আঙিনাতেই ছিলেম শুয়ে।"
মেঘ বলল,
"দেখেছিলাম, তোমার কালো চুলে ঢেকেছিল দিগন্তরেখা।
কিন্তু তুমি জানলে কি করে আমি এসেছিলাম
তোমার আঙিনায়?"
আকাশ বললে, "বা রে! সকালবেলায় ঘুম ভাঙতেই
দেখি আমার চুলের খানিকটা আছে ভেজা,
আর মাটির দিকে তাকিয়ে দেখি
সে যেন ভোরের স্নান সেরে তার সবুজ আঁচল
পেতে আছে শুয়ে,
সোহাগে টলটল তার মুখ,
আমার দিকে তাকিয়ে তার সলজ্জ চাহনিতেই
বুঝেছিলাম -
তুমি এসেছিলে কাল রাতে।
মাটি এতক্ষণ চুপ করে শুনছিল
মেঘ আর আকাশের কথা।
এবার লজ্জা পেল,
সারা বন আকাশের কানে কানে
মর্মরিয়ে ফিসফিস করে বলে গেল,
"থামো.. থামো....থামো..."
সবাই চুপ করে।
কাটল ক্ষণকাল,
অভিসারের সময় এল ঘনিয়ে।
মেঘ তার জলভরা ব্যাকুল বুক নিয়ে
নেমে এল উষ্ণ মাটির বুকের কাছে।
আকাশ তার তারাদের বললে,
"চল ভাই, আমাদের এবার বিদায়ের পালা।"
তারাহীন হল সন্ধ্যাকাশ।
মেঘ নিবিড় হয়ে এল মাটির বুকের কাছে।
মাটির ছোঁয়ায় মেঘের বুকে খেলে গেল বিদ্যুৎ,
মেঘের ছোঁয়ায় যুবতী মাটি হয়ে উঠল পাগল পারা-
তার নদী হয়ে উঠল উচ্ছ্বল,
তার ঘাসে লাগল শিহরণ,
গাছপালাগুলো হল চঞ্চল।
মাটি আর মেঘের আদিরস মুখর হয়ে উঠল,
গর্জনে আর বর্ষণে জাগল মেঘ-মল্লার।
ডাক নি তো?"
অমাবস্যার আকাশ বর্ষার মেঘকে জিজ্ঞাসা করল সন্ধ্যাবেলা।
"হ্যাঁ অনেক রাতে, তুমি তখন একবুক তারা নিয়ে ঘুমাচ্ছিলে।"
"হ্যাঁ গো,
চাঁদ ছিল না যে শোয়ার ঘরে,
তাই তারাদের সাথে আঙিনাতেই ছিলেম শুয়ে।"
মেঘ বলল,
"দেখেছিলাম, তোমার কালো চুলে ঢেকেছিল দিগন্তরেখা।
কিন্তু তুমি জানলে কি করে আমি এসেছিলাম
তোমার আঙিনায়?"
আকাশ বললে, "বা রে! সকালবেলায় ঘুম ভাঙতেই
দেখি আমার চুলের খানিকটা আছে ভেজা,
আর মাটির দিকে তাকিয়ে দেখি
সে যেন ভোরের স্নান সেরে তার সবুজ আঁচল
পেতে আছে শুয়ে,
সোহাগে টলটল তার মুখ,
আমার দিকে তাকিয়ে তার সলজ্জ চাহনিতেই
বুঝেছিলাম -
তুমি এসেছিলে কাল রাতে।
মাটি এতক্ষণ চুপ করে শুনছিল
মেঘ আর আকাশের কথা।
এবার লজ্জা পেল,
সারা বন আকাশের কানে কানে
মর্মরিয়ে ফিসফিস করে বলে গেল,
"থামো.. থামো....থামো..."
সবাই চুপ করে।
কাটল ক্ষণকাল,
অভিসারের সময় এল ঘনিয়ে।
মেঘ তার জলভরা ব্যাকুল বুক নিয়ে
নেমে এল উষ্ণ মাটির বুকের কাছে।
আকাশ তার তারাদের বললে,
"চল ভাই, আমাদের এবার বিদায়ের পালা।"
তারাহীন হল সন্ধ্যাকাশ।
মেঘ নিবিড় হয়ে এল মাটির বুকের কাছে।
মাটির ছোঁয়ায় মেঘের বুকে খেলে গেল বিদ্যুৎ,
মেঘের ছোঁয়ায় যুবতী মাটি হয়ে উঠল পাগল পারা-
তার নদী হয়ে উঠল উচ্ছ্বল,
তার ঘাসে লাগল শিহরণ,
গাছপালাগুলো হল চঞ্চল।
মাটি আর মেঘের আদিরস মুখর হয়ে উঠল,
গর্জনে আর বর্ষণে জাগল মেঘ-মল্লার।
ছবিঃ সুমন দাস