Skip to main content

 

011.jpg

 

বাচ্চারাও এ সময় দিয়ে যাচ্ছে তো। সবটা বুঝছে না। কিছু তো বুঝছে। সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু সব প্রশ্ন এড়িয়েও তো যাওয়া যাচ্ছে না।

আরাধ্যা ছবি আঁকল। মানববন্ধনের ছবি। ওর বয়সে আমি এ শব্দটার মানে জানতাম না। ও জানে।

এত অন্ধকারের মধ্যে একটা জিনিস তো ওরা দেখছে, এভাবেও রুখে দাঁড়ানো যায়। বইয়ের কালো অক্ষরে, রূপোলী পর্দায় বা স্থির চিত্রে না, দেখছে নিজের চোখে। দেখছে মা, বাবা, কাকা, কাকিমা, দাদা, দিদি, দাদু, দিদা, মাষ্টার, দিদিমণি, পাড়ার রাগী জেঠু, পাড়ার মিষ্টি কাকু, পাড়ার সবাই, অচেনা সবাই..... রাস্তায় হাঁটছে। এক সঙ্গে। জাস্টিস চাইছে। কীসের জন্য স্পষ্ট করে বুঝছে না। কিন্তু এটা তো বুঝছে সংসারে এমন একটা কিছু এমনভাবে চাওয়ার আছে যার জন্য দিন রাত মানা লাগে না, পরিচিত অপরিচিত মানা লাগে না। শুধু রুখে দাঁড়ানো লাগে।

এ স্মৃতি ওকে আজীবন শক্তিশালী করবে। ওর প্রজন্মকে আরো বিশ্বাসী করবে মানুষের ন্যায়ের প্রতি আনুগত্যে। এ বিশ্বাস তো করাই যায়।

012.jpg