মামুর নতুন মোবাইল। নিন্দুকে রটাচ্ছে মামু নাকি রাতদিন হোয়াটস অ্যাপ করছে, গেম খেলছে, ইউটিউবে সাজের ভিডিও দেখছে --- এইসব। মামু বলল, মোটেও না, পুরো গোটা স্কুল, অতগুলো প্রাইভেট মাস্টার (যার মধ্যে এই মামুও আছে), সব গিয়ে সেঁধিয়েছে ওইটুকুন স্ক্রিণের ভিতর। এ উঁকি দেয় গুগুল মিটে, সে উঁকি দেয় জুমে, কেউ হোয়াটস অ্যাপে... তবে? এখন কি আর এ শুধুই মোবাইল! মাগো, বাবাগো, এ রীতিমতো বিদ্যানিকেতন, খেলার মাঠ, খোলা জানলা আরো কত কি! তাই অকারণ দোষ দিও না। তবে মাঝেমধ্যে কি আর অন্য কিছু করি না? বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিই না? দিই তো। অমনি মায়ের মনে, মামুর মনে ভুরু কুঁচকানো প্রশ্ন... বলি হ্যাঁ রে, হোয়াটস অ্যাপে বসন্তের বাতাস উঁকি দিচ্ছে-টিচ্ছে নাকি? আসছে নাকি রঙীন খাম, ব্যথাভরা শ্বাস, নিদ্রাহীন কবিতার কুঁড়ি? আসছে? বল না, মামু, আসছে?
অমনি মামু তেড়েফুঁড়ে উঠে বলে, উফ্..., তোমাদের ওই এক কথা!
তা এই হল গিয়ে মামুর নতুন মোবাইল উপাখ্যান। তা মামু হঠাৎ এত সাজলি কেন?
বাহ্ রে, বাড়িতে পুজো, জানো না বুঝি, জন্মাষ্টমী!
তাই তো তাই তো! তা এই ছবি কি ভেসে গেল কারোর দোরে? প্রাণভোমরা আছাড় খেয়ে পড়ল নাকি পায়ের পরে? কিম্বা ছবি, চারটে লাইন হুস করে এলো হোয়াটস অ্যাপে? শুনতে পেলুম কোথায় যেন বৃষ্টি এলো ভীষণ ঝেঁপে!
আবার মামু অভিমানী, এতো কথা বাপু শুনতে নারি। হবে যখন দেখবে তখন, না যদি শোনো আড়ি আড়ি।
দেখতে দেখতে সত্যিই কত বড় হয়ে যাচ্ছে এরা। আমরা হাতের মধ্যে রাখতে চাইনা, নাগালের মধ্যে থাকলেই হল। হাতের চেটো মুঠো করে রাখলে ঘাম জমে শুধু, ভালোবাসা না।