অনবরত এই যে চলা। অনবরত এই যে নিজেকে ঘিরে আবর্ত। অনবরত এই যে এক অন্ধকার থেকে আরেক অন্ধকার গলির দিকে যেতে, মাঝে এক চিলতে আলোর অবসর। এর মধ্যে যুক্তি-সাযুজ্য-অর্থ কোথায় দেখলাম। শুধু তো অসংলগ্ন মৃদুভাষ কিম্বা উচ্চভাষ।
কিন্তু কখনও তো হয়েছ উদাস? সব ভাবনা রাস্তার ধারের ঘুমন্ত কুকুরের মত শুয়ে। একটা অনুভব সুতো ছেঁড়া ঘুড়ির মত উড়তে উড়তে কোথায় চলেছে..... নিজেই জানি না।
কিন্তু সেও শেষ কথা নয়। শেষ কথা এক মুঠো অনর্থক ভালোবাসা। যে নাইটগার্ড দু প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে ভাঙা চেয়ারটায় বসে, পাশে রাখা এক আত্মবিশ্বাসহীন বন্দুক। সে সেই বিস্কুটের প্যাকেট খুলে একটা একটা করে খাওয়াচ্ছে রাস্তার কুকুরগুলোকে, কি মগ্ন হয়ে।
এই কথাটাই কথা, মগ্ন হওয়া। এক অনর্থক, আটপৌরে, খানিক দাবীদাওয়াহীন, খানিক উদাসীন, খানিক হিসেবী, খানিক পাগলামী.... ভালোবাসায় মগ্ন হতে পারা। এই যে সন্ধ্যের আকাশ অল্পক্ষণের জন্য মেঘটেঘ মিশিয়ে, ডুবন্ত সূর্যের শেষ আলোটুকু মেখে কি তন্ময় হয়ে থাকল কিছুক্ষণ!!
কে বলবে তার পাশ দিয়েই জেগে অনন্ত, অসীম মহাকাশ, লক্ষ কোটি গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে আদি-অন্তহীন কাল ধরে। তার মধ্যেই এই মগ্নক্ষণ - মাহেন্দ্রক্ষণ।