Skip to main content
 
"স্যার আমাদের একটু অসুবিধা আছে, আসব?"
মঙ্গলবার থেকেই মাধ্যমিক, আসতে দিতে তো হবেই। কিন্তু এই তো দুদিন আগেই আনুষ্ঠানিক শেষ ক্লাস করানো হল, সবাই বলল আর অসুবিধা নেই, তবে?
ঘন্টাখানেক বাদেই এল।
বুঝলাম, অসুবিধা ততটা সিলেবাসের মধ্যে নয়, যতটা বাইরের। সিলেবাসের বাইরে দেখা করতে চাইলে উপায় আর কি, চারদিকে এত নিশ্ছিদ্র পাহারা!
দুজনে দুটো টেস্টপেপার খুলে বসল। বুঝলাম চিত্রনাট্যে ফাঁকি আছে বিস্তর। প্রশ্নগুলো গুছিয়ে আনা হয়নি। এ ওকে ঠেলে, সে তাকে। সমস্যার গভীরতা যে প্রবল বেশ বুঝলাম। অগত্যা আমিই খুঁজে খুঁজে কিছু প্রশ্ন ও প্রসঙ্গের উত্থাপন করে বললাম, এইগুলো তো?
দুজনেই ধড়ে প্রাণ পেল, একগাল হেসে বলল, হ্যাঁ হ্যাঁ, এইগুলোই..
আমি বললাম, সমস্যাগুলো বুঝি আজই ধরা পড়ল?
ছাত্রীর ফর্সামুখ সাথে সাথেই আরক্তিম। ছেলেটা ফিক করে হেসে বলল, ধুর কি যে বলেন না, সামনেই পরীক্ষা!
বললাম, তাই তো!
তারপর দুজনেই যারপরনাই গম্ভীর হওয়ার চেষ্টা করে পাঠে মনোনিবেশ করার চেষ্টা শুরু করল। জানা কথা প্রথম শোনার বিস্ময় আনার মত অভিনয় তো আর শেখেনি, তাল কাটল বারবার। আমি বললাম, বেশ, এবার বাড়ি যা, বেশি ঘুরিস না। দুজনেই দুটো বড় বড় ঢিপ ঢিপ প্রণাম করে গেল। বুঝলাম বেজায় খুশি।
ওরা সাইকেল নিয়ে চলে যাওয়ার পর ক্যালেন্ডারে চোখ গেল, পয়লা ফাল্গুন, ১৪২৬। এরকম কতবার কতজন এলো গেল, একই ছবি, তবু পুরোনো হয় না, বিশেষত্ব কিছুই নেই, তবু মাধুর্যটা পুরোনো হয় না। ফাল্গুন ফাল্গুনই থেকে যায়।