রাত এগারোটা প্রায়
রাস্তার উপরে হলুদ স্ট্রিট লাইটের মায়া মাখানো আলো
সার দেওয়া বাড়ি
জানলা দিয়ে গা এলিয়ে পড়া ঘরের আলো রাস্তায়
এখানে ওখানে কয়েকটা পাড়ার লালু ভুলু শুয়ে
লোকটার কাঁধে একটা কালো ব্যাগ
ওতে দোমড়ানো আজকের খবরের কাগজ
না ধোয়া তরকারি লাগা ফাঁকা টিফিনবক্স,
আর একটুখানি অবশিষ্ট জল ছলকানো প্লাস্টিকের লম্বাটে বোতল
লোকটা লোহার গেট খুলে একটা বাড়ির সামনে এগিয়ে গেল। তার নিজের বাড়ি।
গেটের পাশে একটা বড় জামগাছ
ওর মায়ের লাগানো
কলিং বেল দিল
দরজা খোলার অপেক্ষা করতে করতে গাছটার দিকে তাকালো
একটু হাত বাড়িয়ে একটা পাতা ছুঁলো
দরজা খুলে গেল
ঘরের বড় বারান্দার আলো লোকটার মুখের উপর পড়ল
দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে যে মানুষটা
তার সাথে তার উনিশ বছর হল
ওই গায়ের গন্ধটা ওরই মত ওর নিজের সম্পদ
তার ওয়েসিস
লোকটা মোজা খুলতে খুলতে ভাবল,
এটুকুর জন্য সে সারা বিশ্বের সুখ বাজি রাখতে পারে। রাখতেই পারে।
লোকটা স্নানে গেল। সারাদিন গলে বেরিয়ে যাবে।
সে মুক্ত এখন