সৌরভ ভট্টাচার্য
25 March 2019
না খেয়ে মরে যাবে ভেবেছিল লোকটা। তা হল না।
তিনতলা, ঘাড় বেঁকিয়ে এ মাথা ও মাথা দেখতে হয়, এমন একটা বাড়ি না বানিয়েই মরে যাবে ভেবেছিল লোকটা। দোতলা হল, দেখতে গিয়ে ঘাড়ও বেঁকল, ১৮০ ডিগ্রী না হোক ৪৫ ডিগ্রী তো বটেই। আচ্ছা না হয় ৮০ ডিগ্রীই হল।
একটা মোটর বাইক ছিল, কিন্তু কয়েকটা এসি লাগানো চারচাকা গাড়ি না কিনেই মরে যাবে লোকটা ভেবেছিল। গ্যারেজে এখন দুটো চাকার পাশে অনেকগুলো চারটে চারটে চাকা।
লোকটা এখনও বেঁচে আছে। কিন্তু কি যেন ভাবে রাতে। বেঁচে থাকার আগেই মরে যাবে, এমন একটা ভয় পায় এখন লোকটা। ভাবতে ভাবতে ছাদে ওঠে হেলমেট পরে, ভয় পায়, পাছে আকাশে মাথা ঠুকে ভাঙে মাথাটা। ব্যাঙ্কের পাসওয়ার্ড সব শত্রুদের নামে রাখে, মনে রাখতে সহজ হয়। চারপাঁচটা কুকুর পোষে, খাওয়ার অগ্রভাগ ওরা খেয়ে না মরে প্রমাণ করে খাবারে নেই বিষ। লোকটা রাতদিন অভিধান খুলে প্রতিশব্দ বাছে। ভালোবাসা মানে অনেক শব্দ জানে। প্রতিটা শব্দ নানান সময় বলে। যাতে একঘেয়ে না লাগে।
লোকে জানে তিনি একজন মহৎ দুষ্টু মানুষ। তিনি জানেন তিনি দুষ্টু মহৎ মানুষ।