Skip to main content

ভদ্রলোক মর্গে। শিক্ষিত প্রতিষ্ঠিত বড়ছেলে খুন স্বীকার করে জেলে। ছোটোছেলে বলেছে দেশে ফিরতে পারব না, মেলা কাজ। বড়ছেলের বউ বলেছে ওসবের মধ্যে আমায় জড়াবেন না। আত্মীয়পরিজন কেউ আসছেন না মর্গ থেকে নিয়ে দাহ করতে চাওয়ার জন্য। এ ও বলছে ওনার স্ত্রী মারা যাওয়ার পরও নাকি একই কাণ্ড ঘটেছিল। তিনদিন পিস হেভেনে শুয়েছিলেন নাকি। তথ্যসূত্র TOI.
কিছুদিন আগে NRC র চক্করে এক পিতার মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে ছেলেপুলে পড়েছিলাম। খবরের কাগজে বেশ বড় করে ছেপেছিল। ডিটেনশন কতরকমের হয় তবে? এটাও অবশ্যই ব্যতিক্রমী ঘটনা। কিন্তু কিছুর ইঙ্গিতবহ কি? আজ আরেকটা কথা বেরিয়েছে, কলকাতা নাকি আগেই জলস্তর বৃদ্ধির শিকার হবে, ডুববে অনেকটা। এ সব অবশ্যই ভবিষ্যতের কথা। কিন্ত আশঙ্কার কথা, ইঙ্গিতবহ।
তবে কোথায় যেন বিঁধছে। কোন মৃত্যুটা বেশি ভয়াবহ? জঙ্গীদের গুলিতে কাশ্মীরে? না ছেলের হাতে বাবার? কোনটা মানবিকতা আর বাস্তববাদীতা? কাশ্মীর থেকে দেহ আনার জন্য অপেক্ষা, না কাজের চাপে উপেক্ষা?
তার চাইতে প্লাবন আসুক নাকি পরিমার্জনের আশা আছে? জানি না।