Skip to main content

প্রার্থনা


টব আছে
মাটি আছে
চারাগাছও আছে

মনে সাধ
  চারাগাছটা হোক মহীরুহ
মনে শঙ্কা
  সে মহীরুহ চিড় ধরাবে টবের
  আমার বাগান ছেড়ে হবে বনের

চারাগাছ, তুমি আমারই থেকো
মহীরুহ, আমিই তোমারই হলাম

রাত


রাত দশটা আঙুল দিয়ে বুকে আঁচড় কাটে
চিড়বিড় করে ওঠে পাঁজরগুলো

একটা আধমরা মথের মত কিছু
প্রবল আক্রোশে ডান ঝাপটায় 
   ফড়ফড় ফড়ফড় করে

গলায় জল ঢালি
  ভাবি যদি বুক অবধি নামে,
জল নামতে নামতে শুকিয়ে যায়

শব্দ

শব্দ মারা যায়
কখন মারা গেল
     কেউ টের পায় না
শূন্য শামুকের খোলকের মত পড়ে থাকে
          একা - অবদ্য

ইছামতী

ইছামতী, তোমায় আমি আজ দেখলাম চোখের বাইরে
   ঠাকুমার চোখে দেখেছি তো সেই জ্ঞান না হতেই
         ঘর ভাঙানো কান্না গানে

একাকীত্ব

তুমি নির্মল একাকীত্ব চেয়েছিলে

পেলে

বাজার

আমার মতো দেখতে কেউ একজন
বাজারের ব্যাগ নিয়ে বাইরে গেল
খানিক পরে বাজারের ব্যাগ নিয়ে ফিরে এল
                          সে অন্য কেউ

ব্যাগ খুলে দেখলাম
বাজারে নানা সামগ্রীর সাথে রক্ত মাখা একটা পোশাক

তোমার শহরেও ভোর হল

ঝড়ে সব ক'টা রজনীগন্ধা ক্ষেতে শুয়ে পড়ল
এমনই প্রচণ্ড ঝড় হল
পরেরদিন, যেই না সুয্যি উঠে ফুটফুটে সকাল হল
  তারা সব্বাই ধুলো-জল ঝেড়ে 
      হুররে করে, সোজা হয়ে উঠে দাঁড়ালো

গুনগুন

অনেকেরই রাস্তা পারাপার হতে জেব্রাক্রসিং লাগে
নিদেন পক্ষে কয়েক জোড়া ট্রাফিকপুলিশ
তারপর এর ওর তার হাত ধরে ধরে পার হয়ে যায়
     সিগন্যাল পরখ করতে করতে শ্বাস চেপে

তোমার কণ্ঠস্বরে


তোমার কণ্ঠস্বরে একটা খোলা মাঠ আছে
আমি মাঝখানে দাঁড়িয়ে গভীর শ্বাস নিয়ে বলি, আঃ!
তোমার কণ্ঠস্বরে একটা শীতল দীঘি আছে
আমি চোখেমুখে জল ছিটিয়ে বলি, শান্তি!
তোমার কণ্ঠস্বরে একটা তারাভরা অমাবস্যা আছে
আমি চোখ বন্ধ করে দু'হাত ছড়িয়ে ভাসতে ভাসতে বলি, এলাম।
তোমার কণ্ঠস্বরে বিষণ্ণ দুপুরে 

ভালোবাসা, বড় গুমোর তোমার


ভালোবাসা, বড় গুমোর তোমার
যখন তখন ঘুঁটি সাজিয়ে ডাকো
"আসো"
ভালোবাসা, বড় গুমোর তোমার
যখন তখন গলা জলে নেমে ডাকো
"আসো"
ভালোবাসা, বড় গুমোর তোমার
হঠাৎ হঠাৎ হারিয়ে গিয়ে বলো
"খোঁজো"
ভালোবাসা, বড় গুমোর তোমার
হঠাৎ কখন ঈশ্বর হয়ে যাও, বলো
"পূজো"
ভালোবাসা, বড় গুমোর তোমার
Subscribe to কবিতা