Skip to main content

স্বপ্নরা বড় হিসেবি আজকাল


প্রচণ্ড রেগে থাকা এক ঝাঁক পাখি 
   ভোরের আলোকে ক্ষত-বিক্ষত করছে খাঁচার ভিতর থেকে

ঘুম ভাঙল সেই চীৎকারে
মনে হল এরকম চীৎকার শুনিনি তো বহুদিন
    এত প্রতিবাদ!

নির্বাসিত


মস্তিষ্ক থেকে দূরে থাকতে চাইছি খানিকক্ষণ
বুকের পাঁজরের উপর 
    শামুকের মত গুটিয়ে শুয়ে থাকতে চাইছি 

ওরা কারা?


তুমি নিশ্চুপ

আমিও

ওরা কারা,
যাদের কণ্ঠস্বরে অবয়বহীন অনৈতিহাসিক সত্য?

তুমি বিভ্রান্ত

আমিও

ওরা কারা,
যাদের সবকটা পথে সুনির্দিষ্ট অশ্বমেধের অশ্ব?

তুমি বালিঘড়ি, উপরপক্ষ
আমি তো বালি শূন্য

ওরা কারা,
যাদের ঘড়ি সময়ের না, রাজ অঙ্গুলি ভক্ত?

পরিসর


পরিসর মানে এক চিলতে রোদ্দুর
পরিসর মানে এক খণ্ড আকাশ 
পরিসর মানে দ্বিমতের বাস শতমত নিয়ে
     তবু হাত পা ছড়িয়ে বসা 
পরিসর মানে অভিমানে ভাঁটা
পরিসর মানে ডুবজলে নেমে মৃত্যুর সাথে
     জীবন ফুরোতে না দেওয়া

এখনই


এখনই না
এখনও অনেকে বসে আছে
অনেকে দাঁত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে ভাবছে এখনও
এখনও অনেকে বাথরুমের আলো নিভিয়ে
   বাথরুমকে অস্তিত্বহীন করে
      শোয়ার ঘরে শুয়ে টিভিতে রান্না শিখছে
এখনও অনেকের চোখে-মুখে জরায়ুস্থ শিশুর সরলতার ভান

ঘুমন্ত চেতনায়


তিনশো বছরের পুরোনো কৃষ্ণমন্দির
রথের উৎসব, 
মঞ্চে বাউলের উদাত্ত কণ্ঠে আল্লাহ্ নাম
আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে
      লালনের পদ

পূর্ণতার জন্য


খুব কমই এমন হয়
কখনও কখনই হয়
যখন একজন মানুষ
আরেক মানুষে 
   মিশে যেতেই চায়

কামের জন্য না
সুখের জন্য না
শান্তির জন্য না
আশ্রয়ের জন্য না

পূর্ণতার জন্য

তোমরাই জানো


কোন রক্তের ঘনত্ব বেশী
কোন প্রাণেতে আনুগত্য
কোন কোন দেহ প্রাণহীন হলে 
তোমরা তাকে শহীদ বলো 
    তোমরা জানো

কখন মাইকে গলা চড়ে
ভোকালকর্ড শীতঘুমে যায়
কখন কাকে তুচ্ছ করে
হঠাৎ ভীষণ উৎসব পায়
    তোমরা জানো

অনশন


ওদের বোকা বোকা জেদ 
হারতে লজ্জা লাগছে, ইগোতে লাগছে
   জানি তো!
সুক্ষ্ম কঠোর অতিমানবিক নজর তোমার
দেখে নিতে চাইছ, মতলবটা কি?

তবু একটা কথা থেকেই যাবে জানো

Subscribe to কবিতা