সৌরভ ভট্টাচার্য
16 July 2020
গুরুমশায় সব ছাত্রদের নিয়ে পাহাড়ের একদম মাথায় উঠলেন। পাহাড়টার মাথায় একটা উপত্যকা। খাদের দিকে একটা বড় পাথর। খাদের অনেক নীচে একটা নদী, আঁকাবাঁকা, তার শুরু আর শেষ দেখা যায় না। চারদিকে ঘেরা বড় বড় পাহাড়। তাদের মাথায় বরফ। সেই বরফের উপর সকালের সূর্যের রঙ যেন সোনা হয়ে আছে।
গুরুমশায় বললেন, আজ মহাতিথি। তোমরা এক এক করে ওই পাথরের উপর ওঠো আর কে কি হতে চাও চীৎকার করে বলো। সমস্ত পাহাড় থেকে প্রতিধ্বনি এসে তোমাদের কানে ঢুকবে। তোমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। মনে হবে সমস্ত জগৎ তোমাদের আশীর্বাদ জানাচ্ছে। যাও। তবে মনে রেখো, এ সুযোগ জীবনে একবার মাত্র আসে। দ্বিতীয়বার ভাবার আর সুযোগ পাবে না।
একে একে পাথরে উঠছে সবাই, চীৎকার করে বলছে....
"আমি খুব বড় চিকিৎসক হব"....
"আমি খুব বড় গায়ক হব"...
"আমি খুব বড় উকিল হব"...
"আমি খুব বড় নেতা হব"....
এরকম এক একজন এক একটা ইচ্ছার কথা জানাচ্ছে আর পাহাড়ে পাহাড়ে তার প্রতিধ্বনি হচ্ছে। তারা তৃপ্ত গর্বিত মুখে গুরুমশায়কে প্রণাম করে যে যার জায়গায় দাঁড়াচ্ছে।
শেষ জন গিয়ে দাঁড়াল। সে চারিদিক তাকিয়ে বলল, আহা কি সুন্দর! কি অপূর্ব!
পাহাড়ে পাহাড়ে প্রতিধ্বনি হল, আহা, কি সুন্দর, কি অপূর্ব!
সবাই শুনে হতভম্ব। একি করল সে, আর তো সুযোগ নেই। একবার মাত্র এ সুযোগ সারা জীবনে আসে। কি হারালো সে! হায় হায় করে উঠল সবাই।
সে মাথা নীচু করে এসে গুরুমশায়ের সামনে দাঁড়াল। গুরুমশায় তাকে তিরস্কার করবেন। সে সাশ্রুনয়নে বলল, আমায় ক্ষমা করবেন।
গুরুমশায় তার মাথায় হাত রেখে, প্রসন্ন হেসে বললেন, তাই হোক তবে...
ছাত্র চমকিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল, আমি কি হব তবে?
গুরুমশায় বললেন, হবে না, হয়েই আছ... কবি