ভোগ গুছিয়ে সে গেল। শাড়িটা নতুন। একবার পরা। অষ্টমীতে।
এই তো বাগান। এই তো ফুল। হিংসা তোদের। রোজ দেখিস ওকে। রোজ পুড়িস ওতে।
দরজা বন্ধ। খুলবি নাকি, পাল্লাদ্বয়? লাগল ভয়। যদি সে না থাকে! যদি সে থাকে!
ভোগ হাতে যে, সে এখন ক্লাস ইলেভেন। আর যার জন্যে সাজানো তার ভোগের থালা, সে কলেজে।
কলিংবেল বাজল। বুকের উপর ছিঁড়ে পড়ল ধ্রুবতারা।
ওই তো সে। এই তো সে।
হাত বাড়িয়ে নিল। বলল, বাপ রে, শাড়ি পরেছিস! কার শাড়ি? মায়ের?
ইস। কি যে বলে! মায়ের কেন হবে। তারই শাড়ি। এই তো দেখো।
বলা যায় নাকি!
বলল শুধু, আসি। খেয়ে নিও।
তারপর সে বাগান পুড়িয়ে, রাস্তা পুড়িয়ে, দশদিক পুড়িয়ে, পুড়তে পুড়তে, অকারণে ভেসে চোখের জলে নিজের ঘরে এলো।
পূর্ণিমার চাঁদে ভর করে, লক্ষ্মী ফিরছে দোরে দোরে। কে আছিস জেগে? কে রে? কে আছিস জেগে?
মধ্যরাত। সে রয়েছে জেগে। পোড়া ছাই যেন চাদরে মিশে। লক্ষ্মী বলল, কি বর চাই?
সে বলল, আমার একটু লজ্জা কমুক…আমায় একটু অলক্ষ্মী করে দিও….