সৌরভ ভট্টাচার্য
9 April 2018
খুকু গেল নীলচলে সাথে ডলিরাণী
খুকু বলে খাবো তিমি দেনা মা আনি
মা বলেন, খায় নারে মা, বিঁধবে গলায় কাঁটা
তিমির কাঁটা জানিস তো রে যেন শলার ঝাঁটা
খুকু করে দাপাদাপি নুলিয়া দেখে জলে
বলে মাকে নাইব মাগো চড়ে ওদের কোলে
সেই না শুনে লাইন লাগে হোটেল দ্বারে শয়ে
খুকু সোজা বাথটবেতে সেঁধিয়ে থাকে ভয়ে
অনেক রাতে সাগরে নামে স্নানবস্ত্র গায়ে
জ্যোৎস্নামাখা রাজপুত্তুর আসে শয়ে শয়ে
সবাই বলে বে করব, চলো আমার সাথে
খুকু বলে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত পরীক্ষা আগে
হুশ করে সব পালিয়ে গেল রাজপুত্তুরগুলো
ছুঁচের ভয়ে তাদের সাধ জলেই মিলিয়ে গেল
খুকু চলে মন্দিরেতে পরে চিকিৎসক সাজ
সব্বাই বলে এসব দিয়ে এখানে কি কাজ?
খুকু বলে জগন্নাথের সুগার, থাইরয়েড, বিপি
মাপিয়েছন কি কোনোকালে, খোঁজ রাখেন নাকি?
সব্বাই বলে তাই তো, তাই তো,
কেউ ভাবেনি এটা
কিন্তু প্রেশার মাপবে ক্যামনে
ওনার হাত যে নেই গোটা?
খুকু পড়ে বেজায় চিন্তায়, সেই তো হল কথা
হাত যদি না গোটা মেলে প্রেশার মাপি কোথা?
এমন সময় নিদেন দিলেন মাতা ডলিরাণী
চিন্তার এতে কি আছে বাপু বুঝেই পাই না আমি
যেই জগন্নাথ সেই কৃষ্ণ, ব্যাটার শিখিপাখা ধরে আন
চিৎপাত করে শুইয়ে দিয়ে চেপে ধর দুই ঠ্যাং
সব্বাই বলে জয় মাতারাণী, কি আপনার বুদ্ধি
এমন সহজ কথাটা আমাদের ঘটে আসেনি সত্যি!
সব্বাই মিলে জগন্নাথের ছাপ্পান্ন ভোগ আনে
মাতারাণীর আসন পাতে, খুকু বসে ডানে
খেয়ে খেয়ে খুকু শেষে উঠতে নারে আর
বলে জয় জগন্নাথ আসো দেখি তুলে করাও দাঁড়
মাতারাণী খুকুর মাথায় মারে এক গাঁট্টা
বলে অমন ঠাকুরে নিয়ে করে না বাছা ঠাট্টা
শেষে ডাকে হনুমানকে
খুকুকে হোটেলে নিয়ে যায়
সেই থেকে খুকু শনি মঙ্গল
বলে জয় বজরঙ্গবলীকি জয়!