The Keepers দেখছি, নেটফ্লিক্সে। একটা মিশনারী স্কুলের প্রধান পুরুষ, যে একজন প্রিস্ট, বাচ্চা বাচ্চা মেয়েগুলোর উপর যৌন নির্যাতন চালাত। এই তথ্য জানার জন্য দুজনকে খুন হতে হয়, যাদের মধ্যে একজন নান। ১৯৬৯ এর বাল্টিমোরের ঘটনা। এখনও ফেসবুক পেজে সেই দুই নিহত মানুষদের প্রতি ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়ে ফেসবুক পেজ চলছে।
আমার বক্তব্য ঠিক এটা নয়। নেটফ্লিক্সের এই তথ্যচিত্রটা অসম্ভব ভালো সে নিয়ে সন্দেহ নেই, তবু এটা আমার বক্তব্য নয়। মানুষের ধর্মান্ধতা, অথরিটির পায়ে নিঃশর্ত মাথা বিকানো ইত্যাদির সাক্ষী হতে বইয়ের পাতা উল্টাতে হয়নি। স্বচক্ষেই জ্ঞাত হয়েছি। কিন্তু তাও আমার বক্তব্য নয়।
আমি কখনও সরাসরি কোনো নির্যাতিতার মুখে সেই নির্যাতনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা শুনিনি। শুনতে শুনতে শরীর খারাপ লাগছিল ইত্যাদি বলা খুব ন্যাকা ন্যাকা শোনায়। কিন্তু তা লাগছিল সত্যি। তারপর থেকে ভেবে যাচ্ছি, আজ অবধি পুরুষের লেখা যত অন্ধকার জগতের উপন্যাস, গল্প, বয়ান - তা কতটা সম্পূর্ণ? আদৌ হয় কি? হতে পারে কি? সে বড়জোর তার তীব্র অনুভূতি বা কল্পনা বা শোনার বা দেখার সাক্ষ্যটা লিখতে পারে, কিন্তু তারপরে যে কিছু একটা থেকেই যায়, যা বলা যায় না। একজন নির্যাতিতা সে ঘটনা বর্ননার মাঝে হঠাৎ বললেন, "উনি হয়ে যাওয়ার পর একবারও আমায় ওনার ঘরের টয়লেটটা ব্যবহার করতে বলেননি! আমি ঐ অবস্থায় বেরিয়ে এসে আমার ক্লাস রুমে বসতাম।" বলতে বলতে সে মহিলা কেঁদে ফেললেন, যিনি এতক্ষণ সেভাবে কাঁদেননি। বিশ্বাস করুন এই অংশটা আমার পুরুষের অনুমান ছুঁতে পারত না, অনুভবে কি সুক্ষতম কল্পনাতেও ধরা দিত না। আমরা পারি না। এটা কোনো পুরুষের পক্ষে লেখাই সম্ভব না। তাই আমার মনে আজ প্রশ্ন, তবে কি যা যা লেখা হয়েছে, যা আমরা সমাজের নির্মম বাস্তব দিক বলি, যা কোনো পুরুষের কলম থেকে বেরিয়েছে, তা কতটা সম্পূর্ণতা পেয়েছে? সে কলম সমাজনীতি, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞানের জটিলতম দিক হয়ত ফুটিয়ে তুলতে পারে, কিন্তু কি পারে না জানেন, জগতের xy factor টাকে ফুটিয়ে তুলতে, কারণ তা চোখেই পড়বে না! তাই #me to তে সারা বিশ্ব এমন চমকে উঠেছিল, আমরা এদ্দিন ধরে অর্ধসত্য বা আংশিক সত্য পুরো সত্য বলে জেনে এসেছি যে! xy factor টা একেবারে আসেনি বলব না, তবে সুরটা চড়েনি। নানা কথায় চাপা পড়েছিল।