Skip to main content

 

 

কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিলো গো.... ঠিক তা না... হৃদয় চিরে প্রবেশ করলে...

     এটা সিনেমটার নাম শুধু না, সিনেমাটা নিয়ে বলতে গিয়েও আমার একই অনুভব। সত্যিই হৃদয় ভেদ করে প্রবেশ করল। বহুদিন পর মনে হল শুদ্ধ জলে স্নান করিয়ে গেল অন্তর্লোক কেউ। 

     সিনেমার মধ্যবিন্দু - সংগীত। উচ্চাঙ্গসংগীত। আর একটি দর্শন, তা হল শিল্পীর সব চাইতে বড় শত্রু হল তার অহংকার, যা তার শিল্পকে নষ্ট করে দেয়। 

     একজনের ঈর্ষা আর অহংকারকে সরিয়ে কিভাবে সত্যিকারের সঙ্গীত নিজের পথ করে নেয়, এ সিনেমাটা সেই গল্প বলে। 'বৈজু বাওরা' সিনেমায় একটা কথা আছে, সাচ্চা শিল্পীকে মারতে অস্ত্র লাগে না, সঠিক সুরই তাকে ঘায়েল করে দেয়। এ সিনেমাতেও একই কথা শেষে উচ্চারিত হল। 

     সিনেমার ভাষা মারাঠি। মারাঠী বহু সিনেমা দেখছি। মুগ্ধ হচ্ছি। কিছুদিন আগেই 'ডিসাইপল' বলে একটা মারাঠী সিনেমা বিশ্ব চলচ্চিত্রের দরবারে দারুণ প্রশংসিত হল, পুরস্কৃত হল। সেই সিনেমার বস্তুও ছিল উচ্চাঙ্গসংগীত। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম সে সিনেমাটা দেখে। আজ মুগ্ধতায় স্নাত হলাম এই সিনেমাটা দেখে। 

     সিনেমাটায় অনেকেই গেয়েছেন, তবে যিনি মুগ্ধ, বিস্মিত করে গেলেন, তিনি হলেন শংকর মহাদেবন। একটা দৃশ্যে আছে গান শুনে সবাই স্তব্ধবাক হয়ে আছে। কেউ হাততালি পর্যন্ত দিতে পারছে না। সিনেমায় এ দৃশ্য দর্শককে বুঝে নিতে হয়, কিন্তু এই প্রথম হল যে শংকর মহাদেবনের গানটা শুনে নিজেই এমন হলাম যে মনে হল দর্শকের যে অনুভব পরিচালক দেখাতে চাইছিলেন, সে যেন সত্যকারেরই হল। রামকৃষ্ণদেব নাটক দেখতে দেখতে বলেছিলেন, আসল নকল এক হয়ে গেছে। আজ সেই একই কথা আমারও মনে হল, এক হয়ে গেছে যেন। 

     আর একটা কথা, কিছু দৃশ্যের অসামান্য কাব্যিক নির্মাণ। সুরে জ্বলে উঠছে জোনাকিরা। বহুদিন বাদে আসা প্রেমিককে চিনছে প্রেমিকা তার গানের তানে জ্বলে ওঠা জোনাকিদের দেখে, যারা তার ঘরে জ্বলে উঠছে মিটিমিটি। তাকে ঘিরে ঘিরে যাচ্ছে অভিসারে, এ অসামান্য দৃশ্যায়ন। 

     এ সিনেমাটা কোথায় পাবেন? এ প্রশ্নের সদুত্তর আমার কাছে নেই। আমি টরেন্টে পেয়েছি। আপাতত কোনো ওটিটিতে আছে কিনা জানি না। 

 

     আমি খোঁজ পেলাম কি করে? ওই হাতড়াতে হাতড়াতে হঠাৎ করে...

 

 

ইউটিউবে পেলাম। লিঙ্কটা...

https://youtu.be/3NrUAs1NYIQ