অনেকদিন পর বইমেলায় থুড়ি কল্যাণী বই উৎসবে এত ভালো বাদাম খেলাম। একটাও পচা বাদাম পেলাম না। মেলায় ঢুকতে টিকিট পঞ্চাশ টাকা নিল। বাইক রাখতে কুড়ি টাকা।
উৎসব প্রাঙ্গণের বাইরে থেকেই চমৎকার বিদেশী সুরে বাংলা গান ভেসে আসছিল। সাথে বিদেশী যন্ত্রের সমাবেশে 'কানের ভিতর দিয়ে মরমে' পশছে যা তাহা অনেকের বিচারে সঙ্গীত। অগত্যা আমাকেও মানতেই হবে।
কেন যেন এসেছিলাম? ও হ্যাঁ বই খুঁজতে, দেখতে। দাঁড়ান বলছি সে কথা। তো দেখলাম অনেক স্টলের উপরে নাম, ভিতরে টেবিলের উপর চেয়ারগুলো মাথায় হাত রেখে শুয়ে। বুঝলাম এই সব প্রকাশনার আর কোনো বই বাকি নেই বিক্রীর। সব বেচা হয়ে গেছে। আবার ঘুরলাম। আবার ঘুরলাম। এ মাথা ঘুরলাম। সে মাথা ঘুরলাম। কি খুঁজছি যেন? বই.... ও হ্যাঁ দাঁড়ান না বলছি তো। ওই তো পুরোনো বই এর স্টল। ওই তো দেজ, ওই তো আনন্দ... ওই তো... কই তো?... চুপ করো..... ওই তো জাগো বাংলা... ওই তো....
মেলার প্রাঙ্গণ ভীষণ পরিষ্কার। এ মাথায় দাঁড়ালে ও মাথা পষ্ট দেখা যায়.... একেই বলে পরিবেশ সচেতনতা। হাঁটলাম। ঘুরলাম। মনের কোণায় পচা বাদামের মত পঞ্চাশ টাকাটা খোঁচাচ্ছে... মেলার বাইরে এসে দাঁড়ালাম.... ধাঁই ধপাধপ গান বাজছে... আজ আসছে মুম্বাইয়ের খুব খ্যাতনামা গায়ক.... ওই যা নামটা কি যেন? থাক... কি মিশা না কি যেন? কি কিং যেন... থাক।
তো যেটা বলছিলাম, বাদাম কিনলাম, একটাও পচা বাদাম নেই.. কি আশ্চর্য! বই? দাঁড়ান তো মশায়... খালি বই বই আর বই? কেন বই উৎসব যেন বই ছাড়া হয় না!... মনে পড়েছে অ্যাশ কিং.... ওর গান শুনবেন? আসুন.. পঞ্চাশ টাকাতেই... মেলা ভরবে এবার... বইগুলো তাকের উপর সাজানো থাকবে... শীতে জবুথবু হয়ে থাকলে কি হবে? গানের লাভায় সব চেগে উঠবে... মাঠের মধ্যে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলবে রবি ঠাকুর টলস্টয় হুগো সুনীল শঙ্খ.... আর বলবে... একটা বাজল এখনো কেউ এলো না... দুটো বাজল এখনো কেউ এলো না.... তিনটে বাজল এখনো....
আসছে কেউ?