Skip to main content

 

অবসাদের খড় ছড়িয়ে
    একটা আত্ম-করুণার কম্বল জড়িয়ে শুলাম
গালের চামড়ার ভাঁজে টাঙিয়ে রাখলাম নোটিস -
              ডু নট ডিস্টার্ব

কেউ বিরক্ত করেনি
(মরা কুকুরকে পাগলেও লাথায় না)

যা হচ্ছে চারদিকে হয়ে যাক
  আমার তাতে কি?
আমার জন্য কি কিছু হচ্ছে?
কেউ ডেকেছে আমায়? ভাবে আমার কথা?
পৃথিবী জোড়া শুধু -
  ওরা ওরা আর ওরা

পাশ ফিরে শুলাম
  আত্ম-করুণার কম্বলে মরণসুখ গরম
বুকের কাছে হাঁটু তুলে কাঁদলাম
  কারোর জন্যে না, নিজের জন্য
যত কাঁদলাম কম্বলের আরাম উঠল বেড়ে
  বাইরে যা খুশী হয় হোক
  আমার এখন অনেক কান্না
  নিজের জন্য। হ্যাঁ হ্যাঁ শুধুই নিজের জন্য।

হঠাৎ চোখ গেল আমার পাশে,
আমার পাশে ওটা কি?
ওতো আরেকটা কম্বল না?
হ্যাঁ হ্যাঁ, তাই তো! চারদিকে লক্ষ লক্ষ কম্বল
    ফোঁপানো কান্নার আওয়াজ,
সবাই কাঁদছে নিজের জন্য
  একা একা। বাইরে যা খুশী হয় হোক।

উঠে পড়লাম
কি যেন একটা হল, আত্ম-ধিক্কার?
   জানি না। একটানে কম্বল ফেলে এলাম বাইরে।
 একটা নরম হাতে লাগল হাত
  তাকিয়ে দেখি ঘুমন্ত এক শিশু
    তার নাকের উপর রঙীন একটা প্রজাপতি
ভোরের আলো মাদুরের মত রঙ
  ছড়িয়ে পড়ছে শিশুর নরম গালে
             প্রজাপতির ডানায়

হঠাৎ প্রজাপতি আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
  তুমি এসে গেছো? একটু বসো তো ওর পাশে
  আমার ফুলের সাথে এখনি দরকার
     অনেক কাজ পড়ে আছে

আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত বসি।
  যেতে উদ্যত চঞ্চল ডানা প্রজাপতিকে বলি -
তুমি চিনতে আমায় আগে? জানতে আমি আসব?

প্রজাপতি বলল, চিনতাম না, জানতাম।
 কারণ, সব সময়েই কখনো কেউ জাগে!


(ছবিঃ সুমন

 

Category