রামকৃষ্ণদেব মাকে চাক্ষুষ হাঁটতে, চলতে দেখতেন এসব তো আমরা জানিই। কিন্তু আরো কত কথা অজানাই থেকে যায়। সে সব কথা আমরা না লিখলে কে লিখবে?
ছবিতে যিনি আছেন, মানে আরাধ্যা পাল, তিনি সকালবেলা ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। ফিরে আমার সঙ্গে দেখা করতে এলেন। কথায় কথায় আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে সকালবেলা কালী ঠাকুর কি করছিল? ওরকম দাঁড়িয়েই ছিল?
সে সঙ্গে সঙ্গে একটুও না ভেবে বলল, না না, খাঁড়াটাড়া রেখে কচুরি আর ছোলার ডাল খাচ্ছিল তো!
আমি বললাম, দাঁড়িয়েই?
সে বলল, হ্যাঁ তো। আর আরেকটা কালী ঠাকুর তো পরোটা আর মিষ্টি খাচ্ছিল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই।
আহা, এমন কথা শুনে কার না ভক্তিভাব জেগে ওঠে। তা আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তুই কি কালী ঠাকুরের কি চাইলি?
সে ঠোঁট উলটে বলল, কিচ্ছু না।
ভাবটা এমন, চাওয়ার কি আছে? একটা চেয়ার জোগাড় করে বসতেই পারছেন না, বেচারী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাচ্ছে, তার কাছে আবার এটাসেটা চেয়ে বিরক্ত করা কেন?
এমন অহেতুকী বিস্ময় আজকাল নিতান্তই দুর্লভ কিনা, তাই এইসব কথা লিখে রাখা!