যত বয়েস বাড়ছে, বুঝছি, ভালোবাসা মানে এক স্বয়ম্ভু উদ্বিগ্নতা। স্বস্তি নেই।
যে ছেলেটা পড়ার ব্যাচে এসে ভিজে ছাতাটা কোথায় রাখবে ভেবে কূল পেত না, সে যখন একটা ব্যাঙ্কের দায়িত্ব সামলাচ্ছে শুনি.... মনে হয় পারবে তো!
যে মেয়েটা নতুন জামায় কাদা লেগেছে বলে মন খারাপ করে পড়ায় মন দিতে পারে না.... সে যখন শুনি অফিস আর বাড়ি দুই সামলাচ্ছে.... আবার তার পুচকেটাও ট্যাঁও ট্যাঁও করে ফোনে কথা বলছে মায়ের সঙ্গে সুরে সুর মিলিয়ে.... তখনও মনে সব সামলাতে পারবে তো!
যেন বয়েস খালি আমারই বাড়ছে। ওরা যেন সেই একই রয়ে গেছে। এত এত কাজ, দায়িত্ব শুনে খুশীও হই, আবার ওই স্নেহের সিনড্রোম আক্রান্তও হই.... "স্নেহের স্বভাবই এই অকারণে অনিষ্ট আশঙ্কা করে"।
এতদূর বয়েসটা গড়িয়ে বুঝেছি, শান্তি ও স্বস্তি বলিয়া দুটি অলীক ভাবের পিছনে দৌড়ে লাভ নেই। ওতে প্রথমেই যেটা যায় সেটা হল শান্তি আর স্বস্তির সম্ভাবনাটাই। তারা যত বড়ই হয়ে যাক.... অসুখে পড়েছে শুনলে মন দমেই যায়.... মনে হয় একা পারবে না.... যাই.... এখনই যাই.... যেন ধন্বন্তরি, সুশ্রুত, বিধান রায় সব মিলিয়ে আমি হয়েছি..... মনের সব সুস্থিতি পগারপার.... যতক্ষণ না শুনি সে ভালো আছে... এই নাকি ভালোবাসা... এই নাকি স্নেহ.... এই নাকি অমৃত... এই নাকি মধুময় না কি সব যাতা.... সব মিথ্যা কথা। আসল কথাটা হল ভালোবাসা মানে স্বয়ম্ভু উদ্বিগ্নতা.... তল নাই.... পার নাই.... আমরণ.... তারপর কি? আপাতত জানা নাই। ডেটা আপডেট নেই।
যে যেখানে আছিস, ভালো থাকিস, সুস্থ থাকিস, সব দিক থেকে।