সৌরভ ভট্টাচার্য
2 May 2016
জঙ্গল কেটে সভ্যতা বানালাম। জঙ্গলের পশুত্বটাকে সাথে করেই আনলাম। ওকে কাটবে কে? বাঁধবে কে? মাঝে মাঝেই সে বেরিয়ে আসে। আঁচড়ে, কামড়ে রক্তাক্ত করে যায় সারাটা আমিকে। কে বলবে তখন আমি ভদ্র। আর যেই বলুক, অন্তত আয়না বলে না। তাই ভদ্র কাপড়-চোপড় পরে রাস্তায় নামি। মন্দির খুঁজি। ভিতরের মন্দিরের দরজা বন্ধ হলে, বাইরের মন্দিরের খোঁজ পড়ে। ভিতরে যে একটাই মন্দির, সেই মন্দিরটা ভেঙে পড়লে, বাইরে হাজার মন্দির গড়া হয়ে যায়। ভিতরের দীনতা চাপতে বাইরের মন্দিরে ঘন্টার আওয়াজ, স্তবের আওয়াজ বাড়িয়ে দিতে হয়। তখনই বুঝতে হয়, সাজানো বাগানে বাঘ ঢুকেছিল। পাশবিক, নরখাদক, হিংস্র বাঘ। শরীরে নিশ্চই কোথাও আছে আঁচড়ানোর দাগ। নইলে এত ভাল কেন হলে গো তুমি? বড্ড ভাল। সন্দেহ হয় যে! দাগটা কই?