অকারণে সে লজ্জা পাচ্ছে আজ থেকে থেকেই
ফর্সা কানদুটো লাল টকটকে হয়ে উঠছে গরম হয়ে
রান্না করতে করতে ঠান্ডা জল কানে ঠেকাচ্ছে,
ঠোঁটের কোণে হাসি
আলগোছে চুল সরাতে গিয়ে কপালে মুখে লাগছে হলুদ
আগে এরকম হত না তো!
তরকারীতে দুবার পড়ছে নুন, চা তে কখনো চিনি বেশি
কখনো একেবারে না
বারে বারে দাঁড়াচ্ছে গিয়ে আয়নার সামনে
স্খলিত আঁচল, নিজেই নিজেকে দিচ্ছে লজ্জা
ইস্, বেহায়া কোথাকার!
রান্নাঘরের পাশের থেকে
কি এক নাম না জানা ফুল বেঁধেছে খোঁপায়
কবে ফুটে ছিল কে জানে!
বায়না ধরল খোঁপায় উঠবে-
ওঠ!
কোকিলটা জ্বালালে তো গো!
কারোর কথা শোনা দায়!
কি হল তার!
সংসারের নিয়ম-নীতির বেড়া টপকে-
কারোর দেখা পেয়েছে সে আজ,
সেও দেখেছে!
সবার কাছেই এখন বড্ড পুরোনো যে সে,
দেখে কই!
এমনকি যার সাথে ঘর বাঁধল সেও!
সে এক পুরোনো অভ্যাস শুধু তার কাছে।
দাম নেই, প্রয়োজন আছে
আলমারী, আলনা, খাটের মত।
পাপ?
হবে হয়তো, তবু বাঁচতে ইচ্ছা করছে!