স্বাগতম আমার লেখার জগতে
সাহিত্য জগতে অনেক পারিজাত, পদ্ম, গোলাপ ফুটে আছে। আমি আমার আগাছা ভরা বাগানে কিছু বনফুল ফুটিয়ে রাখলাম। আগাম ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালাম যদি পথ ভুলে কেউ এ বাগানে এসে থাকেন।.
সৌরভ ভট্টাচার্য
খেলা
নির্বাচিত ক্যাটাগরি
প্রবন্ধ
মতুয়া শব্দটা আমি প্রথম শুনি ‘শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত’ তে। মতুয়ার বুদ্ধি - রামকৃষ্ণদেবের ভাষায়। সে মতুয়ার বুদ্ধি মানে কি? নিজের মত সম্বন্ধে অন্ধবিশ্বাস। অবশ্যই রামকৃষ্ণদেব যতবার মতুয়া শব্দটা উচ্চারণ করছেন, ততবারই নিন্দাত্মক ভাবেই উচ্চারিত হচ্ছে। ফলে আমার ধারণা জন্মেছিল খুব সঙ্কীর্ণ অন্ধবিশ্বাসী কোনো সম্প্রদায়ের কথা রামকৃষ্ণদেব নিশ্চয় বলছেন।
পড়ুনগোঁসাই
মধুপ
বলে ঈশ্বরের উপর নির্ভর করো… একি কথা গোঁসাই? যাকে দেখা যায়, ছোঁয়া যায়, যার কথা শোনা যায় তার উপরেই নির্ভর করা যায় না, এদিকে বলে কি যে দেখাশোনার বাইরে তার উপর নির্ভর করো? একি কোনো কাজের কথা হল গোঁসাই?
গোঁসাই আজ ভীষণ সেজেছে। তার গলায় মালা। পরনে কি চমৎকার নীল কাপড়! মাথায় একটা শিখীপাখা… কি সাজ গো গোঁসাই এ?
গোঁসাই বাগান না জঙ্গল যাই বলো, তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে। চারদিক জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে। পলাশে, শিমূলে লালে লাল চারদিক। গোঁসাই এসে দাঁড়িয়েছে তার মাঝে।
গোঁসাই বলল, নির্ভর কি চোখ, কান, নাক করে গো… নির্ভরতা এক অনুভব। এক সুখ।
বললাম, সুখ না ছাই গোঁসাই… নিজেকে ঠকানোর এক উপায়।
বুকু
বাঘের গল্প বাঘের মুখে
বাঘের গল্প কেউ বলতে পারে না। কেউ না। কেউ না। কেউ না। সবাই বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা কথা বলে।
তাই হল কি বুকু রেগেমেগে ঠিক করল জঙ্গলে গিয়ে এক্কেবারে বাঘের মুখ থেকেই বাঘের গল্প শুনবে। বুকু বাড়ি থেকে জঙ্গলে যাবে কি করে? এই এক ভাবনা। বুকুর বাড়িতে বুকুর ঠাকুমা, ঠাকুর্দা, বাবা, মা, পিসি, কাকা, কাকি --- কত্তো লোক! কিন্তু এরা কেউ তাকে জঙ্গলে নিয়ে যাবে? কেউ না। বুকু ক্লাস থ্রিতে পড়ে। এমন কিছু ছোটোও নয় যে তাকে জঙ্গলে নিয়ে যেতে হবে কাউকে হাতে ধরে। সে গাছে চড়তে পারে, সাঁতার কাটতে পারে, দৌড়াতে পারে, ঝাঁপ দিতে পারে। তবে? আর কি চাই? জঙ্গলে গিয়ে এগুলোরই দরকার বেশি।
বুকুর বাড়ি থেকে জঙ্গলের রাস্তাটা সোজা। কিন্তু অনেকটা সময় লাগে। বাস যায়। রাতে একটা বাস, দিনে একটা বাস। বুকু ঠিক করল সে দিনের বেলার বাসেই যাবে। কিন্তু বাসে উঠতে গেলেই তো নানা লোকে নানা প্রশ্ন করবে। এত ছোটো বাচ্চা কোথায় যাচ্ছে? কেন যাচ্ছে? সাথে কে? উফ্..., কেন যে বড়রা এত প্রশ্ন করে! তবে কি ভাবে যাবে?
বুকু বাড়িতে দু’দিন কোনো দুষ্টুমি করল না। এখন শান্ত হয়ে থাকতে হবে। কেউ যাতে বেশি নজরে না রাখে তাকে। বুকুর একটা নিজের ঘর আছে। সেখানে সে ধীরে ধীরে, সবাইকে লুকিয়ে ব্যাগপত্তর গুছিয়ে রাখতে শুরু করল। এখন শুধু সুযোগের অপেক্ষা।
সুযোগ এসেও গেল, একদিন সকালে বাড়িতে পাড়ার অনেক লোক এসেছে, সবাই ব্যস্ত। বুকু চুপিচুপি তার ব্যাগটা নিয়ে বাড়ির দরজাটা খুলে গলি দিয়ে বেরিয়েই দে ছুট। বাড়িতে পুজোর মিটিং হচ্ছে। পাড়ার সবাই এখন অনেকক্ষণ হইচই করবে। কেউ তার দিকে খেয়ালই রাখবে না। আর জঙ্গলে পৌঁছাতে তার বড় জোর দু-ঘন্টা লাগবে। তারপর আর তাকে পায় কে!
ভাইরাল পোষ্ট
নতুন লেখা
মানুষকে দূষণমুক্ত করে সংশয়
শ্রদ্ধা
মাধুর্য
ফিরে দেখা
পাথেয়
গোধূলির আলোতে
ধুলোকেও মনে হয় সোনার কণা
নদীর সাদামাটা জল যেন
গলানো সোনা
মধ্য গগনে না
দিগন্ত ছোঁয়া
নম্র কোমল আলোয়
সামনে এসে দাঁড়াও যখন
গল্প না তো!
ছায়াপথ
মনের দু'পাশে দুটো হাত দিয়ে আগলে রেখেছো কিছুতেই যেন হারিয়ে না যাও ভিড়ে
বেসামাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলে হাত
কামড়ে ধরো মনের দুটো পা
যাতে পালাতে না পারে
ঝর্নার মত নদী না হয় ছিটকিয়ে
এখন রাত্রি অনেক গভীর
সারা আকাশে রহস্যময় হাসি
অবশ শরীরে তবু আগলে আছো মন