আসলে তো বর্বরতা কোনোদিন যায় না। যাবেও না।
কবি তাও কোনো এক কাল্পনিক রক্ষাকর্তাকে পেয়েছিলেন ধৃতরাষ্ট্রের সভায়
আজ জন্মালে সে কল্পনাও হত কল্পনাতীত
বাচ্চাটা মাথা ঠুকে মারা গেল
ওর ছুঁড়ে ফেলে দিল তো ধর্ষণে বাধা হচ্ছিল বলে!
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এ নিতান্তই অকিঞ্চিৎকর ঘটনা - জ্ঞানী বলবেন
কর্মফল যার যেমন - কোনো বিশেষ দার্শনিক সম্প্রদায়ের কেউ বলবেন
ভক্ত বলবে, লীলা ভগবানের। কে বুঝবে বলো?
রাজনীতিবিদ বলবেন, এ ঘটনা সাজানো
অপরপক্ষ বলবেন, কই আমাদের সময় তো হত না!
সমাজ বিজ্ঞানী বলবেন, হতাশা-বেকারিত্ব-দারিদ্র্য-পর্ণোগ্রাফি
রক্ষণশীল বলবে, অত রাতে কেউ বেরোয়? মেয়ে মানুষের এত সাহস কিসের?
নারীবাদীরা বলবেন, এ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অভিশাপ!
আসলে সত্যি কথাটা কেউ বলবে না, বারণ আছে যে!
ধর্মগুরু, রাজনীতিগুরু, সমাজগুরু - এরা অন্যকিছু শিখিয়ে রেখেছে যে!
নিজের তৈরি নিজের একটা স্বর্গীয় ছবি আছে না? তার কি হবে?
তাই আসল কথাটা কেউ বলবে না -
যে মানুষ আদতে বর্বর, স্বার্থপর, কামুক, ভীতু
ধর্মে-তত্ত্বে-শৌখিন ভদ্রতায় ঢাকা ঘিনঘিনে নিম্নবেগ
প্রতিদিনের কাগজে এ ঘটনার প্রভাব কত?
ওই দাড়ি কাটতে গিয়ে কেটে গেলে যেমন হয় - উফ!
তারপর সব ফিকে হতে হতে শূন্য। ঘটনার স্বপ্নে আগমনে স্বপ্নদোষে বা হয়ত।
আসলে তো মানুষ দুটো
নাভির নীচে আর নাভির উপরে
সভ্য হল নাভির উপর মানুষ শুধু
বাচ্চাটা রক্তের দাগ মুছে গেছে হয়ত এতক্ষণে
অনেক গাড়ি, অনেক মানুষ, অনেক তাড়া, অনেক প্রয়োজনীয় ব্যস্ততা!
সব মুছে যাবে। সব ভুলে যাবে।
সমষ্টি টিকে থাকবে। ব্যষ্টি তো মোহ!
সমষ্টিই তো মেধা, উন্নতি! ব্যষ্টি তো বোকা আবেগ!