ফুলগাছগুলোতে সবে কুঁড়ি এসেছে, আর তুমি কিনা বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কেটে আনলে!
আচ্ছা বলো তো, কি করে আমি এই উঠোন ছেড়ে, সমুদ্রের ধারে যাই!
বললেই বলবে, ঘরকুনো! আরে ওরাও তো কত সাধ করে আমার উঠানে বেড়াতেই এসেছে বলো! ছেড়ে যাই কি করে!
আরে মেনিটার এখন ভরামাস! আর তুমি আনলে ট্রেনের টিকিট কেটে! আমি না থাকলে এর বাড়ি ওর বাড়ি রান্নাঘরে গিয়ে ছুঁকছুঁক করবে। মার খাবে। আমি কাঞ্চনজঙ্ঘাতেও যে মেনির ভরাপেট দেখব গো!
বললেই বলবে, ঘরকুনো, আরে বেড়াল বলে কি আর মানুষ নয়, কি বলো? ওরাও মানুষ, অন্যরকম মানুষ।
আজ আমার মেনি, বাগান দুই-ই নেই। আমার অফুরন্ত সময়। পাহাড়ে যাবে? না সমুদ্রে? হ্যাঁ গো, তুমি এমন অসময়ে একা বেড়াতে গেলে! যেতে আছে? আমায় একা ফেলে?
আমিও যাব না কোথাও। তুমি যেখানে আছো, আমিও আসব। ক'টা দিন সবুর করো। আগুন কাউকেও বিমুখ করে না গো।
তবে হ্যাঁ, আমাদের পুরোহিত মশায়ের মেয়ের বাচ্চাটাকে দেখেছো? এই দ্যাখো ওর জন্য এই কাঁথাটা বুনছি। আমি এখন উঠি বুঝলে, ঘোষগিন্নী আমি না গেলে সিন্নি মাখতে পারবে না। হাজার বললুম, আমি বেধবা। তা কে শোনে কার কথা!
আসি বুঝলে! আমায় আবার লোকে বলে নাকি ঘরকুনো! আ গেল জ্বালা!