সৌরভ ভট্টাচার্য
3 April 2018
উৎসবে হাসিমুখ রাখা কতটা সোজা। সবাই হাসছে। চোখে-মুখে হাসি ঠিকরে পড়ছে। সাজ-পোশাক বলে দিচ্ছে, কি অসম্ভব খুশী আমরা। পরিপূর্ণ আমরা। ক্ষোভ? ফুঃ! ওসব ফু দিয়ে ওড়াই আমরা।
আচ্ছা যদি উৎসব না হয়ে শোকসভা হয়? সবাই গম্ভীর। বাচ্চাদের ছাড় আছে। আমরা তো বাচ্চা নই, অবুঝ নই। ওদেরকেও শেখাই, এখানে হইহুল্লোড় করতে নেই, চুপ করে বসো। ওই আঙ্কেলটা গডের কাছে চলে গেছে। তোমায় কত ভালোবাসত না? টফি দিত?... যাও শান্ত হয়ে খেল... মোবাইল?... না এখন একদম না...দেখছ না আমি ব্যস্ত....
ওয়াটস অ্যাপ... অন হল...
... ফিলিং বোর ডুড.. ওয়াটস অ্যাপ... চিল (জীবনানন্দের সোনালী ডানার না, chill..), শাট আপ.. নটি
ডাবল টিক.. নীল রঙ... টাইপিং..
মুখে এক ভাব... শোক.. সম্মিলিত শোক...
মানুষ সব চাইতে বেশি ভাবে কখন? কমোডে বা ইন্ডিয়ানে আর স্টেশানে। মানুষ চুপ করে বসে থাকলে ভাবতে পারে না। তখন হিসাব করে। বোর হয়। শয়তান হয়।
মানুষ জেনুইনলি ভাবে অপেক্ষা করতে করতে... কমোডে বা ইন্ডিয়ানে, স্টেশানে, এয়ারপোর্ট... তবে এয়ারপোর্টে উৎকণ্ঠাটা একটু বেশি। সেখানে অনেক ঝকমারি কাজ... অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা... তার ওপর স্টেটাস সচেতন হওয়ার একটা ক্রিমী চাপ থাকে (ক্রিমী মানে কৃমি না, মানুষ সরীসৃপ যদিও, তৃপ্তি মিত্র জানেন, কিন্তু কৃমি সরীসৃপ নয়। এখানে ক্রিমী মানে, creamy, দীর্ঘিকার কেন দিলাম? ইচ্ছা)।
মানুষ জেনুইনলি ভাবে অপেক্ষা করতে করতে... কমোডে বা ইন্ডিয়ানে, স্টেশানে, এয়ারপোর্ট... তবে এয়ারপোর্টে উৎকণ্ঠাটা একটু বেশি। সেখানে অনেক ঝকমারি কাজ... অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা... তার ওপর স্টেটাস সচেতন হওয়ার একটা ক্রিমী চাপ থাকে (ক্রিমী মানে কৃমি না, মানুষ সরীসৃপ যদিও, তৃপ্তি মিত্র জানেন, কিন্তু কৃমি সরীসৃপ নয়। এখানে ক্রিমী মানে, creamy, দীর্ঘিকার কেন দিলাম? ইচ্ছা)।
যা বলছিলাম, মানুষ অপেক্ষা করতে করতে বেশি ভাবে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগে আত্ম-বিশ্লেষণী হয়। মৃতদেহ সৎকারের সময় গরম চা খোঁজে। চা খেতে খেতে (পান শব্দটা সুরা ছাড়া প্রযোজ্য না) ভাবে। শ্মশানের পাশে চায়ের দোকান ভালো চলে। চায়ের সাথে মনের একটা নিরীহ বোঝাপড়া থাকে। চা মনের দুর্বল, কোমল চিন্তাগুলো জানে।
আমরা গ্যাদারিং পছন্দ করি। আমরা আমাদের 'মানুষ' হিসাবে অবজেক্টিফাই করে, 'আদার থিং' হিসাবে দেখি (আদার মানে ভূনিম্নস্থ কাণ্ড আদা না, যা রান্নায় লাগে। আদার মানে other। যদিও আমরা কাউকে জীবনে কখনও ভূনিম্নস্থ কাণ্ড আদা হিসাবে দেখি না তাও নয়, কত কাউকে কত রান্নায় ব্যবহারও তো করি)। আমরা আমাদের সীমা টানি না। আবার টানিও। হিউম্যান গ্যাদারিং - কুম্ভ, যুদ্ধক্ষেত্র, পার্লিয়ামেন্ট, শপিংমল, খেলার মাঠ, স্কুল, কলেজ, অফিস...
মানুষ মানে মাথা(বাকিটা জন্তু)... মাথার মধ্যে চিন্তা... চিন্তার মধ্যে মানুষ... চিন্তার মানুষের গায়ে গন্ধ হয় না...
হিউম্যান গ্যাদারিং...গায়ের গন্ধ... ডিওর গন্ধ... সেণ্টের গন্ধ... লার্জ ইন্টেস্টাইনের ব্যাকটেরিয়ার ফার্মান্টেশান জাত বায়বীয় আবগজাত গন্ধ... মানুষ ছেঁকে নেয়... ছাঁকতে ছাঁকতে দুটো মানুষ হয়.... ফিলটারড মানুষ... র মানুষ.....
মানুষ মানে মাথা(বাকিটা জন্তু)... মাথার মধ্যে চিন্তা... চিন্তার মধ্যে মানুষ... চিন্তার মানুষের গায়ে গন্ধ হয় না...
হিউম্যান গ্যাদারিং...গায়ের গন্ধ... ডিওর গন্ধ... সেণ্টের গন্ধ... লার্জ ইন্টেস্টাইনের ব্যাকটেরিয়ার ফার্মান্টেশান জাত বায়বীয় আবগজাত গন্ধ... মানুষ ছেঁকে নেয়... ছাঁকতে ছাঁকতে দুটো মানুষ হয়.... ফিলটারড মানুষ... র মানুষ.....
দুটো মানুষ মুখোমুখি হয়... যুদ্ধ করে... গলাগলি করে.... একা হয়... আবার টুকরো টুকরো হয়...
এক মানুষে অনেক মানুষ ভেসে চলে..
গ্যাদারিং... হিউম্যান গ্যাদারিং...