গণতন্ত্র আবার কি? গণতন্ত্র মানে হল, গণ নির্বাচিত রাজতন্ত্র। অভিধানে যাই লেখা থাক, এটাই আমরা বুঝি।
এখানে গণ বলতে বোঝায় সিঁড়ি, স্তম্ভ না। সিঁড়ি আর স্তম্ভের মধ্যে একটা বড় পার্থক্য আছে। গঠনগত তো বটেই, কার্য্যগতও। সিঁড়ির দায়িত্ব ওঠাবার বা নামাবার বন্দোবস্ত করেই শেষ। কিন্তু স্তম্ভের দায়িত্ব প্রতি মুহুর্তে - ধরে রাখা। যদি গণ বিচ্ছিন্ন না হয়, নাগরিক দায়িত্ববোধে প্রতিক্ষেত্রে সচেতন হয়, তা হলে অনেক ঘটনা ঘটাবার আগে গদির লোকেদের ভাবতে হয়। খোঁয়াড়ে আগুন লাগানো আর বসতিতে আগুন লাগানোর মধ্যে যেমন পার্থক্য আছে সেরকম পার্থক্য তৈরী হয়।
চিরটাকালই মানুষ সংঘবদ্ধ হয়েছে নীতিতে, যা বৃহৎ স্বার্থের সাথে জড়িয়ে। ক্ষুদ্র স্বার্থ কোনোদিন একজোট করতে পারেনি, পারবেও না। আমার পাড়ায় কেউ আগুন লাগালে যদি তুমি গর্জে না ওঠো, তোমার প্রত্যক্ষ কিছু ক্ষতি হয়নি বলে, তবে সেদিন বেশি দেরী নেই, যেদিন তোমার পাড়াও জ্বলবে, অন্য পাড়া উদাস সাক্ষী থাকবে। সাবধান!